বাড়ি কিনতে আসা ৪৬ হাজারেরও বেশি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে রিয়াল এস্টেট কোম্পানি আম্রপালি গ্রুপ। প্রতারকদের তালিকায় রয়েছে স্বয়ং মহেন্দ্র সিং ধোনিও। দেশকে বিশ্বকাপ দেওয়া অধিনায়কের বকেয়া প্রায় ৪০ কোটি টাকা মেটায়নি এই গোষ্ঠী। বাধ্য হয়ে ধোনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আম্রপালির বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন মাহি।
২০০৯ সালে ধোনি আম্রপালির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। এমনকি ধোনির স্ত্রী সাক্ষীও এই সংস্থার সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই গোষ্ঠীর সঙ্গে ধোনি একাধিক চুক্তি করেছিলেন। ধোনিকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর করে নিয়ে এসেছিল আম্রপালি। মূলত ব্র্যান্ডিং এবং মার্কেটিংয়ের কাজেই ধোনির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিল আম্রপালি।
আরও পড়ুন: IPL 2019: ম্যাচের মাঝেই কোটলা দেখল ‘ফ্লাইং ফিশ’
এ প্রসঙ্গে ধোনি নিজেই জানিয়েছেন, "আম্রপালির থেকে আমি ৩৮ কোটি ৯৫ লাখের কিছু বেশি টাকা পাই। এর মধ্যে ২২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা প্রধান পরিমাণ। এবং ১৬ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা বার্ষিক ১৮ শতাংশ সুদের বিচারে প্রাপ্য়"। এমনটাই রিপোর্ট দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার। ধোনি নিজের দাবির স্বপক্ষে এই সংস্থার সঙ্গে যাবতীয় চুক্তির নথিও পেশ করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতে।
আম্রপালির থেকে বাড়ি কিনে যাঁরা প্রতারিত হয়েছিলেন তাঁরা বছর তিনেক আগে সোশাল মিডিয়ায় সরবও হয়েছিলেন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছিলেন আম্রপালি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডায়রেক্টর অনিল শর্মাকে। পাশাপাশি আরও দুই ডিরেক্টর শিব প্রিয়া এবং অজয় কুমারের জন্যও এই একই নির্দেশ ছিল সুপ্রিম কোর্টের।