বছর পনের পেরোল। ধোনিকে নিয়ে আজও একইরকম বিস্ময়াবিষ্ট ক্রিকেট দুনিয়া। ২০০৪ সালে এই দিনেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের অধিনায়কত্বে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন ধোনি। প্রথম ম্যাচে অবশ্য মোটেই নজর কাড়তে পারেননি। কোনও রান না তুলেই বাংলাদেশের বিপক্ষে রান আউট হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তারপরে কেটে গিয়েছে ১৫ বছর।
শুধু প্রথম ম্যাচই নয়, অভিষেকে বাংলাদেশ সিরিজে খেলতেই পারেননি ধোনি। অভিষেকে শুন্য করার পরে পরের তিন ম্যাচে ধোনি করেছিলেন মাত্র ১৯ রান। তবে ধোনি নিজের আগমন সোচ্চারে জানিয়েছিলেন ঘরের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে। ২০০৫-এর এপ্রিলে পাকিস্তান সিরিজে ধোনিকে ব্যাটিং অর্ডারে তিন নম্বরে পাঠিয়েছিলেন সৌরভ।
ভাইজ্যাগে ধোনি একাই পাকিস্তানকে ধ্বংস করে দেন। ১২৩ বলে ১৪৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে নিজেকে বিশ্বক্রিকেটে জাহির করেছিলেন। তারপরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি ধোনিকে।
তারপর বাকিটা ইতিহাস। এরপর ধোনি ক্রমে নিজেকে জাতীয় দলের অপরিহার্য অংশ করে তুলবেন। ফিনিশার ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন। এবং সর্বোপরি রাহুল দ্রাবিড় পরবর্তী সময়ে জাতীয় দলের হালও ধরবেন। সেই সঙ্গে উইকেটকিপার হিসেবে মুগ্ধতা ছড়ানো তো রয়েইছে।
মহাতারকার ১৫ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পূর্তি উপলক্ষ্যে চেন্নাই সুপার কিংস টুইট করে সম্মান জানিয়েছে। টুইটারে ট্রেন্ড করেছে, ফিফটিন ইয়ার্স অফ ধোনিইজম হ্যাশট্যাগ। পাশাপাশি ভক্তরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভরিয়ে দিয়েছেন প্রিয় তারকার বিশেষ দিনে।
বিশ্বকাপের পর থেকে অবশ্য ধোনি জাতীয় দলের জার্সিতে খেলছেন না। অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্রামে রয়েছেন তিনি। অবসর নিয়ে একাধিকবার গুজব ছড়ালেও ধোনি সেপথে হাঁটেননি। সূত্রের খবর, ধোনি নিউজিল্যান্ডের সফরেই জাতীয় দলের জার্সিতে ফিরতে পারেন।