যেভাবে জাতীয় দলকে একসময় নেতৃত্ব দিয়েছেন একসময়। সেভাবেই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে পরিচালনা করবেন। এমনটাই জানিয়ে দিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। গত সপ্তাহেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল বোর্ড সভাপতির মসনদে বসছেন সৌরভ। তারপরে এতদিন ওয়ার্ম আপ সারছিলেন মহারাজ। ২৩ তারিখে বোর্ডের সাধারণ বৈঠকেই সৌরভ ও বোর্ডের নতুন পদাধিকারীদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হয়। নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে সুপ্রিমকোর্ট নিযুক্ত বোর্ডের প্রশাসকমণ্ডলী। সুপ্রিমকোর্ট মঙ্গলবারই ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে সরকারিভাবে দায়িত্ব হস্তান্তরের বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশিকা মেনেই সৌরভ এবার ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বেসর্বা।
তারপরেই সৌরভ সরকারিভাবে বোর্ড সভাপতি হওয়ার পরে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বলে দিলেন, "স্বচ্ছতা নিয়ে কোনও আপোষ করা হবে না। দুর্নীতিমুক্ত, বিসিসিআই পরিচালনা করব, যেভাবে জাতীয় দলকে একসময় নেতৃত্ব দিয়েছি।" অধিনায়ক হওয়ার পরে যে নীল ব্লেজার পরে জাতীয় দলের নেতৃত্বে নেমেছিলেন প্রথমবার, সেই ব্লেজারেই এদিন প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন। নিজের অতীত-স্মৃতি উসকে দিতেই।
মহেন্দ্র সিং ধোনির অবসর নিয়ে গুঞ্জন থামার কোনও লক্ষণই নেই। বোর্ড সভাপতি পদে প্রথমবার সরকারিভাবে অভিষিক্ত হয়েই সৌরভ তাই বেছে নিলেন ধোনি-প্রসঙ্গ। জানিয়ে দিলেন, "ধোনির কৃতিত্ব গোটা দেশকে গর্বিত করেছে। যদি আপনি বসে ওঁর কৃতিত্ব পর্যালোচনা করেন, তাহলে আপনি বলতে বাধ্য হবেন, ওয়াও!" এখানেই না থেমে সৌরভ মহাতারকাকে নিয়ে আরও বলেছেন, "যাঁরা চ্যাম্পিয়ন হয় তাঁরা এত তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যায় না। আমি থাকলে, কেউ অশ্রদ্ধার শিকার হবেন না।"
তারপরে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনেই তাঁর কাছে উড়ে এল একাধিক প্রশ্ন। আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, ধোনির ভবিষ্যৎ জানার জন্য নির্বাচকদের সঙ্গে আলাদা করে বসবেন তিনি। তাছাড়া বিরাট কোহলির সঙ্গেও একান্তে সাক্ষাতের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তারপরেই ধোনিকে নিয়ে এদিন প্রশ্নের পর প্রশ্ন। পাশাপাশি বাংলাদেশ ক্রিকেটের অচলাবস্থা নিয়ে সৌরভ আগেই জানিয়েছিলেন, সিরিজ নির্ধারিত সূচি মেনেই হবে, তিনি আত্মবিশ্বাসী। সেই প্রসঙ্গে আরও একবার তিনি বললেন, "বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন তিনি কলকাতায় টেস্ট দেখতে আসবেন। তিনি যদি সম্মতি দিয়ে থাকেন, তাহলে বাংলাদেশের ক্রিকেট দল আসবে না, এমনটা হতে পারে না।"
প্রসঙ্গ কোহলি: আগামীকালই কোহলির সঙ্গে বৈঠকে বসছি। কোহলি জাতীয় দলের অধিনায়ক। ভারতীয় ক্রিকেটের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এই মুহূর্তে। ক্রিকেটারদের জীবন যাতে আরও সহজ-স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়, তা দেখাই আমাদের কর্তব্য। কোহলি জাতীয় দলকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। ও একজন শীর্ষস্তরের ক্রিকেটার।
প্রসঙ্গ ঘরোয়া ক্রিকেট: শেষ তিন বছরে ঘরোয়া ক্রিকেটের সংখ্যা দ্বিগুন বেড়ে গিয়েছে। তাই শীর্ষস্তরের টুর্নামেন্টগুলি যাতে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে প্রথম অগ্রাধিকার পাবে, ঘরোয়া ক্রিকেটারদের যত্ন নেওয়া।
প্রসঙ্গ স্বার্থ সংঘাত: এই সমস্যা রয়েই গিয়েছে। পুরো বিষয়টা আমরা পর্যালোচনা করে দেখব।
প্রসঙ্গ আইসিসির লভ্যাংশ: ভারতীয় বোর্ড যাতে নিজেদের লভ্যাংশ পায়, সেটা দেখতে হবে। বর্তমানে আমাদের যা দেওয়া হচ্ছে, তা পুরনো বকেয়া অর্থ। এই বিষয়ে আমরা আইসিসির সঙ্গে কথা বলব।
ব্লেজার স্টোরি: ভারতীয় দলে প্রথমবার অধিনায়ক হওয়ার পরে এই ব্লেজার পেয়েছিলাম। তাই আজ পুনরায় এই ব্লেজার পড়লাম। তবে বুঝতে পারিনি, এটা এতটা ঢিলে হয়ে গিয়েছে।
Read the full article in ENGLISH