অ্যাডিলেডে যে দু'টি ঘটনায় ভাইরাল হল ধোনির ভিডিও

অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনে ভারত। রান তাড়া করে ম্যাচ জেতানোর খেলায় কোহলির অসারণ সেঞ্চুরি আর ধোনির ৫৪ বলে অপরাজিত ৫৫ রানের ইনিংস সোনার হরফে লেখা থাকবে।

অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনে ভারত। রান তাড়া করে ম্যাচ জেতানোর খেলায় কোহলির অসারণ সেঞ্চুরি আর ধোনির ৫৪ বলে অপরাজিত ৫৫ রানের ইনিংস সোনার হরফে লেখা থাকবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
MS Dhoni shouts at Khaleel Ahmed and give short-run controversy

অ্যাডিলেডে যে দু'টি ঘটনায় ভাইরাল হল ধোনির ভিডিও (ছবি-টুইটার)

মঙ্গলবার অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে সিরিজে সমতায় ফিরেছে ভারত। রান তাড়া করে ম্যাচ জেতানোর খেলায় বিরাট কোহলির অসারণ সেঞ্চুরি আর মহেন্দ্র সিং ধোনির ৫৪ বলে অপরাজিত ৫৫ রানের ইনিংস সোনার হরফে লেখা থাকবে।

Advertisment

দীর্ঘদিন পর ধোনিকে সেই ট্রেডমার্ক ফিনিশারের ভূমিকায় দেখে মুগ্ধ বাইশ গজ। ছিল শেষ ওভারে ধোনির গগনচুম্বী ছক্কায় ম্যাচের মধুরেণ সমাপয়েৎ। কিন্তু এসবের মাঝেও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে মাহির একটি শর্ট-রান। ঘটনাটি ঘটেছে ম্যাচের ৪৫ ওভারে। ন্যাথান লিঁয়র ওভারে। রাঁচির রাজপুত্রের সঙ্গে তখন ক্রিজে দীনেশ কার্তিক। লিঁয়র বল লং-অনে ঠেলে দিয়ে ধোনি শর্ট রান নেন। এই ম্যাচে প্রতিটি রানই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। কারণ রান তাড়া করে ম্যাচ জেতার ক্ষেত্রে সকলেই স্ট্রাইক রোটেট করতে চায়। ধোনি-কার্তিকও সেই কাজটাই করছিলেন।

Advertisment

আরও পড়ুন: ধোনি ভারতীয় দলে আলোর দিশারী: রোহিত শর্মা

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মুহূর্তে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, ধোনি রানটা সম্পূর্ণ না-করেই কার্তিকের সঙ্গে ম্যাচ নিয়ে আলোচনা শুরু করে দেন। আর পুরো বিষয়টাই আম্পায়রদের চোখ এড়িয়ে যায়। এমনকি অস্ট্রেলিয়া দলের কোনও সদস্যই এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি ম্যাচে। তাঁরাও খেয়াল করেননি বিষয়টি। আইসিসি-র রুলবুক বলছে যে, কোনও ব্যাটসম্যান যদি ইচ্ছাকৃত রান সম্পূর্ণ না-করেন তাহলে সেই দলের পাঁচ রান পেনাল্টি হিসেবে কেটে নেওয়া হয়। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা বনাম ইংল্যান্ড পাল্লেকল টেস্টেও এই দৃষ্টান্ত রয়েছে।

অন্যদিকে আরও একটি ঘটনায় নজরে এসেছেন মাহি। ড্রিংকস ব্রেকে ভারতীয় দলের দ্বাদশ সদস্য খালিল আহমেদ জলের বোতল নিয়ে এসেছিলেন ধোনি-কার্তিককে দেওয়ার জন্য়। কিন্তু আহমেদ দ্রুত জল দেওয়ার জন্য পিচের মধ্য়ে দিয়েই হেঁটে আসেন। যা দেখে মেজাজ হারান ধোনি। তাঁকে পিচের পিছন দিয়ে হেঁটে আসার পরামর্শই দেন তিনি। আসলে ধোনি ভেবেছিলেন, এই ভাবে আসলে পিচের মধ্যে জল পড়ে যেতে পারে। বিশ্ব ক্রিকেটে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথার জন্য ধোনি ক্যাপ্টেন কুল নামেই পরিচিত। তাঁকে সচারচর মেজাজ হারাতে দেখা যায় না। কিন্ত মাঝে মধ্যে ধোনিও মাথা ঠিক রাখতে পারেন না। বকাঝকা দেন অনুজদের। গত বছর মণীশ পাণ্ডেকেও তিনি একবার বকা দিয়েছিলেন জোরে দৌড়াতে না-পারার জন্য়।

India Australia MS DHONI