বিশ্বকাপের দলে চমক থাকবে। এমনটাই প্রত্যাশিত ছিল। তবে এভাবে যে নির্বাচকরা চমক দেবেন তা ধারণারও বাইরে ছিল। ধোনি ফিরলেন জাতীয় দলের স্কোয়াডে। তবে ক্রিকেটার হিসেবে নয়। মেন্টর হয়ে।
Advertisment
প্রথম চমকের নাম যদি ধোনি হন। তাহলে দ্বিতীয় চমক অবশ্যই রবিচন্দ্রন অশ্বিন। চলতি ইংল্যান্ড সিরিজে এক ম্যাচেও যাঁকে না খেলানো নিয়র উত্তাল ক্রিকেট দুনিয়া। চার বছর পরে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করলেন তিনি। অক্টোবর-নভেম্বরে আমিরশাহিতে আয়োজিত টি২০ বিশ্বকাপে অশ্বিনকে রেখেই দল গড়লেন নির্বাচকরা। ধোনি সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে নিরবিচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ রাখবেন। দলকে মূল্যবান ইনপুটস দিয়ে সাহায্য করবেন।
বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়ার তালিকায় শিখর ধাওয়ান, যুজবেন্দ্র চাহাল এবং কুলদীপ যাদব। কুল-চা জুটিকে বাইরে রেখে নির্বাচকরা মিস্ত্রি স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী এবং রাহুল চাহারকে দলে রাখলেন।
শ্রীলঙ্কায় কিছুদিন আগেই জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ঘটিয়ে ফেলেছিলেন সূর্যকুমার যাদব এবং ঈশান কিষান। ১৫ জনের স্কোয়াডে দুজনেরই ঠাঁই হয়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের হয়ে ধারাবাহিকভাবে দুজনে পারফর্ম করে আসছেন। ঈশান কিষান ওপেন করার সঙ্গে উইকেটকিপিংয়ের দায়িত্বই সামলাতে পারেন। এই বিষয় মাথায় রেখেছেন নির্বাচকরা।
চোট সরিয়ে ফিরে আসা শ্রেয়স আইয়ারের জায়গা হয়েছে রিজার্ভে শার্দুল ঠাকুর এবং দীপক চাহারের জায়গায়। মার্চ মাস থেকেই ক্রিকেটের বাইরে আইয়ার। এনসিএ-তে তিনমাস রিহ্যাব করেছেন। ক্রিকেটের সঙ্গে সংস্রব না থাকার কারণেই বাদ পড়েছেন তিনি।
কোহলির দলে তিনজন ফ্রন্টলাইন অলরাউন্ডারের জায়গা হল- অক্ষর প্যাটেল, রবীন্দ্র জাদেজা এবং হার্দিক পান্ডিয়া। ক্রুনালকে বাইরে রেখে জায়গা দেওয়া হল অক্ষরকে। তিন পেসার হিসাবে দলে জায়গা পেয়েছেন ভুবনেশ্বর কুমার, মহম্মদ শামি এবং জসপ্রীত বুমরা। বুমরা-শামি ইংল্যান্ড সফরেই আছেন। অন্যদিকে ভুবনেশ্বর কুমার শ্রীলঙ্কা সফরে জাতীয় দলের ভাইস ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। দুই ফরম্যাটে ছয়টা ম্যাচেই খেলেছিলেন।
ওয়াশিংটন সুন্দর ইংল্যান্ডে গিয়েই আঙুলের চোটের শিকার হয়েছিলেন। আইপিএলেও খেলতে পারবেন না। তাঁর অনুপস্থিতিই অশ্বিনের প্রত্যাবর্তনের পথ মসৃণ করল।