সিএসকে সূত্রে টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানানো হয়েছে, “২০২১ সালের আগে মেগা অকশন হবে। ধোনি ইতিমধ্যেই আমাদের জানিয়েছেন, সেই টুর্নামেন্টে উনি খেলবেন। এখনই তাই টি২০ ক্রিকেট থেকে অবসরের কোনও পরিকল্পনা নেই ধোনির।”
একদিন আগেই রবি শাস্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, ধোনির বিষয়ে এখনই ভবিষ্যৎবাণী করা উচিত হবে না। ধোনির জন্য আইপিএল পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথাও বলেছিলেন জাতীয় দলের হেডস্যার। এতেই স্পষ্ট ধোনি বিশ্বকাপের পরে জাতীয় দলের জার্সিতে একটাও ম্যাচ না খেললেও টি২০ বিশ্বকাপে নির্বাচকদের ভাবনায় যথেষ্টভাবেই রয়েছেন।
আরও পড়ুন বিয়ের আগে সব পুরুষই সিংহ: এমএস ধোনি
ধোনিকে রাখতে সিএসকে-র খরচ হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। ধোনি অবশ্য ফ্র্যাঞ্চাইজিকে আগাম জানিয়ে রেখেছেন, চাইলে সিএসকে তাঁকে নিলামে চড়াতে পারে। সেই সূত্র জানিয়েছেন, “২০২১ সালে মেগা অকশনে ধোনি নিজের নাম দেখতে চায়। সিএসকে ধোনিকে রাইট টু ম্যাচ কার্ড ব্যবহার করে রিটেন করতেই পারে। হয়তো কিছু কম দামে। ধোনি নিজে অধিনায়ক হওয়ায় টাকার বিষয়ে সমঝোতা করতেই পারে।”
ধোনি সিএসকে ম্যানেজমেন্টকে বার্তা দিলেও, চেন্নাই সুপারকিংস অবশ্য ধোনিকে রিটেন করার পথেই হাঁটতে চলেছে। “আমরা জানি ধোনি আমাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই নিলামে ধোনিকে রাখা হবে না।” বলছেন এক সিএসকে কর্তা।
আরও পড়ুন ধোনির ভবিষ্যতের জন্য আইপিএলের পর্যন্ত অপেক্ষা, বলছেন শাস্ত্রী
কিছুদিন আগেই ধোনি অনুশীলনে ফিরেছেন। এতেই স্পষ্ট এখনই অবসরের চিন্তা নেই ধোনির। শাস্ত্রীর কথা আবার যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী। জাতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্টও নিশ্চয় ধোনিকে নিয়ে পরিকল্পনা সেরে রেখেছে। সিএসকে-র সেই সোর্সও জানিয়েছেন, “ধোনির গতিবিধি সম্পর্কে নাকি টিম ম্যানেজমেন্ট অবহিত নয়। তবে এটা পুরোপুরি সত্যি না-ও হতে পারে। ডিসেম্বরে টি২০ বিশ্বকাপে ভারতের পরিকল্পনায় ভালভাবেই রয়েছে ধোনি।”
জাতীয় দল যেখানে গোপনে ধোনির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে, সেখানে সিএসকে আবার দল নতুন করে সাজাতে ব্যস্ত। ২০২০ সালেই সিএসকের জার্সিতে শেষবারের মতো দেখা যাবে হরভজন সিং, শেন ওয়াটসন, ইমরান তাহির, ডোয়েন ব্র্যাভোর মতো সিনিয়র তারকাদের। ধোনি এই দলগঠনের কাজে ভালভাবেই যুক্ত থাকবেন।
সেই ইঙ্গিত দিয়েই সিএসকে-র তরফে বলা হয়েছে, “২০২১ সালের আইপিএলের পরে ধোনির অবসরের কথা উঠবে। ধোনি যদি অবসরও নেয়, তাহলেও সিএসকে-র মেন্টর হিসেবে রেখে দেওয়া হবে সবসময়।”