অবসর নিচ্ছেন না। খেলবেন আরো এক মরশুম। তবে নেতৃত্বের ব্যাটন হাতে সম্ভবত সিএসকে-তে আর দেখা যাবে না ধোনিকে। এমনই আপডেট দিলেন জাতীয় দলের প্রাক্তন ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার।
টানা এগারো মরশুম হলুদ জার্সিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ধোনি। সদ্য সমাপ্ত মরশুম বাদে প্রত্যেক সিজনেই দলকে প্লে অফে তুলেছেন। যে রেকর্ড এখনো কোনো দলের নেই। তবে বাঙ্গার স্টার স্পোর্টসের ক্রিকেট কানেক্টেড অনুষ্ঠানে এসে বলে দিয়েছেন, "যতটা ধোনিকে চিনি, বুঝি, ও হয়ত আগামী বছরে আইপিএলে ক্যাপ্টেন হবে না। কেবলমাত্র ক্রিকেটার হিসাবেই অংশ নেবে। নেতৃত্বের ব্যাটন তুলে দেবে ফাফ দু প্লেসিসের হাতে। যাতে দলের রূপান্তর পর্বটা মসৃন ভাবে হয়ে থাকে।"
আরো পড়ুন: ক্যামেরার সামনে বিব্রতকর অবস্থায় নীতা আম্বানি! ফাইনালের পরে মুখ লুকোলেন লজ্জায়
কেন ডুপ্লেসিস-ই ক্যাপ্টেন, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাঙ্গার। বলেছেন, "এই মুহূর্তে চেন্নাইয়ের নেতা বেছে নেওয়ার খুব বেশি অপশন নেই। নিলামে কোনো দল-ই এমন কোনো ক্রিকেটারকে রিলিজ করবে না, যে সিএসকের ক্যাপ্টেন হতে পারেন।"
ডুপ্লেসিস সিএসকের হয়ে আট মরশুম খেলছেন। ব্যাট হাতে নিয়মিত ভরসা জুগিয়েছেন। ধোনির অবসরের পর সুরেশ রায়নার নাম শোনা গিয়েছিল। তবে রায়না আইপিএল ছেড়ে দেওয়ার পর তাঁকে বাইরে রেখেই ভাবতে চায় সিএসকে ম্যানেজমেন্ট। সেই কারণেই আপাতত ধোনির উত্তরসূরি হয়ে ওঠার দৌড়ে হট ফেভারিট দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা।
এই প্রসঙ্গে বাঙ্গার জাতীয় দলের প্রসঙ্গও তুলে এনেছেন। ২০১৪ সালে টেস্ট ক্যাপ্টেন্সি ছেড়ে দেন ধোনি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান ২০১৭-য়। এই সিদ্ধান্তের পিছনে ধোনির দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ছিল, জানাচ্ছেন বাঙ্গার। যাতে কোহলিকে সঠিক সময়ে নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড পড়ানো যায়।
বাঙ্গার বলেছেন, "২০১১ সালের পর ধোনি জাতীয় দলের নেতা হিসাবেই এগিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। তবে ওর মাথায় এটাও ছিল যে সামনেই অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মাটিতে গিয়ে খেলতে হবে। সেই মুহূর্তে অন্য কোনো নেতাও তৈরি ছিল না। সেই কারণেই একদম সঠিক সময়ে ধোনি নিজের নেতৃত্বের দায়ভার দিয়ে যায় কোহলিকে।"
সিএসকে কিংবা ধোনির তরফে এখনো সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। যদি সত্যি ধোনি শেষবারের আইপিএলে নেতৃত্বে না থাকেন, সেটা বাড়তি আলোচনার যে জন্ম দেবে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন