২০১১ ভারতের ঐতিহাসিক বিশ্বকাপ জয় এখনও সমর্থকদের সুখ স্মৃতিতে আক্রান্ত করে। ২৮ বছর পরে ট্রফি জয়ের স্বাদ পেয়েছিল টিম ইন্ডিয়া, তা-ও আবার ঘরের মাঠে দর্শক ভর্তি স্টেডিয়ামে। ২ এপ্রিল এদিনেই ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নেমে ভারত একসময় দুই ওপেনারকে হারিয়ে চরম চাপে পড়ে যায়।
আর কঠিন সময়েই ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন স্বয়ং মহেন্দ্র সিং ধোনি। ২০০৭ বিশ্বকাপে ধোনি ছাপ ফেলতে পারেননি। আর ২০১১-এর সংস্করণ তাঁকে রাতারাতি মহাতারকা খ্যাতি এনে দেয়। ফাইনালে যুবরাজ সিংয়ের আগে নিজেকে ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোট করেছিলেন। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তারকা।
ভারত একসময় ১১৪/৩ হয়ে যায়। কোহলি আউট হওয়ার পরে গম্ভীরের সঙ্গে যোগ দেন ধোনি। চতুর্থ উইকেটে দুজনে ১১৯ রান যোগ করে যান। গম্ভীর যখন আউট হন ৯৭ রানে, সেই সময় জয়ের গন্ধ পেয়ে গিয়েছেন নীল জার্সির দল।
একপ্রান্ত ধরে থেকে শেষে টেনশনের মুহূর্তে ধোনির নুয়ান কুলাশেখারাকে হাঁকানো সেই ছক্কা মাইলফলক হয়ে গিয়েছে ক্রিকেট ইতিহাসে।
আরও পড়ুন: বড় অভিযোগে বিদ্ধ শোয়েবের পাশে দাঁড়ান সৌরভই, কেকেআরের ঘটনায় মুখ খুললেন আখতার
সেই বছরেই নিলামে তোলা হয়েছিল ধোনির ঐতিহাসিক সেই ব্যাট। নিলামে ৭৪ লক্ষ টাকা দাম পেয়েছিল সেই ব্যাট। সেই সময়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১১-র জুলাইয়ে নিলামে দাম ওঠে ১ লক্ষ পাউন্ড। ধোনির চ্যারিটির কাজে সেই অর্থ ব্যয় করা হয়েছিল।
ঘটনাচক্রে, সেই বিশ্বকাপে ধোনি একবারও হাফসেঞ্চুরি করতে পারেননি। তবে ফাইনালের আসল মঞ্চেই ঝলসে উঠেছিল কিংবদন্তির ব্যাট। ফর্মে থাকা যুবরাজকে পিছিয়ে দিয়ে নিজেকে ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোট করা নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত। তবে সেই সিদ্ধান্ত যে পুরোপুরি সঠিক ছিল, তা ম্যাচের ফলেই প্রমাণিত।
আরও পড়ুন: রাসেলের ছক্কায় বেজায় খুশি শাহরুখ! ধুম ধাড়াক্কা ম্যাচের পরেই কিং খানের উচ্ছ্বাস প্রকাশ্যে
১৫ উইকেট এবং ৩৬২ রান হাঁকিয়ে যুবরাজ বিশ্বকাপের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসাবে টুর্নামেন্ট ফিনিশ করেন শচীন তেন্ডুলকর। ২১ উইকেট দখল করে যুগ্ম সর্বোচ্চ উইকেটপ্রাপক হন জাহির খান।
২০১৫-র বিশ্বকাপে ভারত নিজেদের খেতাব ধরে রাখতে পারেনি। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারত পরাস্ত হয়। ২০১৯-এও ভারত সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়। আগামী বছর ভারত ফের একবার বিশ্বকাপ অভিযানে নামবে। রোহিতের টিম ইন্ডিয়া এক দশক আগের পারফরম্যান্স ফিরিয়ে আনতে যে বদ্ধপরিকর থাকবেন, তা বলাই বাহুল্য।