বঙ্গবন্ধু টি২০ কাপে নক্কারজনক কীর্তি করে বসলেন বাংলাদেশের জাতীয় দলের তারকা মুশফিকুর রহিম। মাঠেই সতীর্থ ক্রিকেটারকে তেড়ে মারতে গেলেন মুশি। যা নিয়ে পদ্মাপাড়ের ক্রিকেটে ব্যাপক হৈচৈ।
সোমবার এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হয় বেক্সিমো ঢাকা এবং ফরচুন বরিশাল। সেই ম্যাচেই মুশফিকুর রহিমের ঢাকা ৯ রানে পরাজিত করে বেক্সিমো। তারপরেই প্লে অফে খেলা নিশ্চিত করে ঢাকা। এই ম্যাচেই কুৎসিত ঘটনার সাক্ষী রাখল মুশফিকুর। বেক্সিমোর হয়ে ম্যাচ একার হাতে ছিনিয়ে নেওয়ার প্রয়াস চালাচ্ছিলেন আফিফ হোসেন। তাঁরই একটি ক্যাচ ধরাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। ক্যাচ ধরতে উদ্যোগী হয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম এবং নাসুম আহমেদ। তবে ক্যাচ ধরতে গিয়েই প্রায় একে অন্যের সঙ্গে সংঘর্ষের উপক্রম হয়। তখনই ক্রুদ্ধ রহিম বল ছুড়ে নাসুমকে মারার হুমকি দেন।
আরো পড়ুন: শাহের গুজরাটে কেন সাত ম্যাচ! সৌরভের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাংলা, মুম্বইয়ের
বরিশালের শেষ ১৯ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪৫ রান। হাতে ছিল ৫ উইকেট। ১৭ তম ওভারে তখনই আফিফ ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বল হাওয়ায় তুলে দেন। শর্ট ফাইন লেগে দাঁড়ানো নাসুমেরই ক্যাচ ছিল সেটি। তবে মুশফিকুর হঠাৎ ১০ গজ দৌড়ে এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার উপক্রম করেন। তিনি ক্যাচ ধরেই সেলিব্রেশন করার বদলে উল্টে নাসুমকে বল ছুড়ে মারার হুমকি দিয়ে বসেন।
জাতীয় দলের ক্রিকেট তারকার এমন কাণ্ড ব্যাপক সমালোচিত বাংলাদেশের ক্রিকেট মহলে। দলের সতীর্থকে চাড্ডিখানি কথা তিনি শোনাতেই পারেন। তবে মারার হুঁশিয়ারি কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। ঘটনার পরেই নাসুমকে দেখা যায় মুশফিকুরের কাছে ক্ষমা চাইতে। তবে তারপরেই মুশি ক্রুদ্ধ হয়ে একের পর এক গালিগালাজ করতে থাকেন। বুঝিয়ে দেন, ক্যাচটা তাঁরই ছিল!
Read the full article in ENGLISH
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন