আর সপ্তাহ দুয়েক বাদেই বিশ্বকাপ অভিযান শুরু ভারতের। ইংল্যান্ডের মাটিতে ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠ কার্নিভালে বিরাট কোহলির তুরুপের তাস হতে পারেন মহম্মদ শামি। শেষ কয়েক বছরে টেস্ট হোক বা ওয়ানডে, কোহলির দলের এই পেসার চমকে দিয়েছেন সবাইকে। ওজন কমিয়ে শামি এখন আরও ফিট তরতাজা। বিশ্বকাপে নিজের সেরাটা দিতে মরিয়া বছর আঠাশের পাঁচ ফুট সাত ইঞ্চির এই পেসার। সদ্য়সমাপ্ত আইপিএলেও চমকে দিয়েছেন তিনি।
ইংল্যান্ডের পিচ এখন ব্যাটসম্যানদের কাছে স্বর্গের মতো। তিনশ বা তার বেশি রান তাড়া করে জেতাটা সেখানে অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গিয়েছে। দেখতে গেলে বিশ্বকাপের সময় ব্রিটিশ তল্লাটে গরম থাকবে। পিচ পাটা হবে বলেই প্রত্যাশিত। টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শামি বলছেন, "সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের পাটা পিচ এখন ব্যাটসম্যানদের কাছে স্বর্গরাজ্য। কিন্তু বোলারকে অত্যন্ত স্মার্ট হতে হবে। ঠিক লাইন-লেন্থে বল রাখতে হবে পরিবেশ বুঝে। আমার হাতে গতি আছে সুইং করাতে পারি। আমি এসব নিয়ে ভাবছিই না। আমার বোলিংয়ের জন্য আদর্শ পরিবেশ। অফস্টাম্পের বাইরে লেট মুভমেন্ট কার্যকরী হতে চলেছে।" শামি আরও বলছেন যে তিনি নিজের গতির সঙ্গে কোনও সমঝোতা করবেন না বিশ্বকাপে। প্রতিপক্ষকে চমকে দেওয়ার জন্য ইয়র্কারই হতে চলেছে তাঁর অস্ত্র। এ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য়, "আগের মতোই একই আছে আমার ইয়র্কারগুলো। বিশ্বকাপে প্রচুর ইয়র্ক দেব। ব্যাটসম্যানদের খেলা সহজ হবে না।
আরও পড়ুন: বাকি দলগুলো প্রস্তুতি সারছে, শুধু বিরাটরাই বিশ্রামে, কিন্তু কেন?
শামি আরও বলছেন, বিশ্বকাপে ভারতের বোলিং ইউনিট দুরন্ত। জসপ্রীত বুমরা এবং ভুবনেশ্বর কুমারের সঙ্গে একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা রয়েছে। কিন্তু বোলিং ইউনিটের সকলেই একে অপরের মতামত নেয়। সেই স্বাধীনতা রয়েছে সকলের। তিনি এও বলেছেন যে, বিশ্বকাপে তিনি এবং তাঁর বাকি দুই পেস বোলাররা জানেন কী ভূমিকা হতে চলেছে টুর্নামেন্টে।