মিস্ট্রি স্পিনার বলা হত তাঁকে। আবির্ভাবের সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাটসম্যানদের ত্রাস হয়ে উঠেছিলেন। সেই রহস্য বোলার অজন্থা মেন্ডিসই অবসর নিয়ে ফেললেন সমস্ত ধরনের ক্রিকেট থেকে। শ্রীলঙ্কান বিবিসি-র খবর মানলে ৩৪ বছর বয়সেই ব্যাট-প্যাড গুটিয়ে রাখলেন। জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেননি বহুদিন। লঙ্কান ক্রিকেটে পালাবদলের হাওয়া। নতুন করে আর সুযোগ পাওয়ারও সম্ভবনা নেই। শেষবার জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেছিলেন ২০১৫ সালে।
জাতীয় দলের জার্সিতে মেন্ডিসের সেরা পারফরম্যান্স ২০০৮ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে। ১৩ রান খরচ করেই তুলে নিয়েছিলেন বিপক্ষের হাফডজন উইকেট। টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ভারতের বিপক্ষে। তিন টেস্টে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের নাকানিচোবানি খাইয়েছিলেন। ৩ টেস্টে তাঁর দখলে ছিল ২৩ উইকেট। মেন্ডিসের একদশক আগের সেই পারফরম্য়ান্সে এতটাই প্রভাবিত হয়েছিলেন প্রখ্যাত ক্রিকেট লিখিয়ে রব স্টিন যে নিজের কলামে লিখেছিলেন, "স্পিন বোলিংয়ের ভবিষ্যত আমরা পেয়ে গিয়েছি। তাঁর নাম অজন্থা মেন্ডিস।"
আরও পড়ুন স্পেনে রয়েছেন মারে, সাহায্যের প্রতিশ্রুতি নাদালের, দিতে চাইলেন নিজের বোটও
নিজের সেরা সময়ে ওয়ান ডে ক্রিকেটে দ্রুততম পঞ্চাশ উইকেট নিয়েছিলেন। পাশাপাশি টি টোয়েন্টিতে তাঁর রেকর্ড আজও অক্ষত। টি টোয়েন্টি-র একমাত্র বোলার হিসেবে দু-বার একই ইনিংসে ছয় উইকেট নেওয়ার বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেন।
তবে ঘটনাচক্রে, আবির্ভাবের সময়ে যতটা সাড়া ফেলেছিলেন, সেই ফর্ম ধরে রাখতে পারেননি পরবর্তীকালে। ২০০৯ এবং ২০১২ সালে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটর বোলিংয়ে মুখ ছিলেন তিনি। তবে তারপর থেকেই পারফরম্যান্সের গ্রাফ ক্রমশ নামতে থাকে তাঁর। বলা হয়, ব্যাটসম্যানরা তাঁকে অনেকটাই পড়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছিল। ফলে তাঁর জার্সি থেকে মিস্ট্রি স্পিনার ট্যাগটাই লোপাট হয়ে যায়।
যাইহোক, মেন্ডিস ১৯টি টেস্ট সহ ৮৭টি একদিনের ম্যাচ এবং ৩৯টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন। সেখানে তাঁর উইকেটসংখ্যা যথাক্রমে ৭০, ১৫২ এবং ৬৬। চলতি বছরে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছিলেন তিনি। প্রিমিয়ার লিগের টায়ার-বিতে পুলিশ স্পোর্টস ক্লাবের ক্যাপ্টেন ছিলেন তিনি। তবে অবাক করার হলেও দলের বোলার নয়, ব্যাটসম্যানের কোটায় খেলছিলেন মেন্ডিজ।
Read the full article in ENGLISH