Ranji Trophy: রঞ্জি ট্রফির দ্বিতীয় রাউন্ডে দিল্লি-তামিলনাড়ুর মধ্যে ম্যাচ ড্র হল। ম্যাচের শেষ দিনে দিল্লি ৮৩ ওভার আট উইকেটে তোলে ১৯৩ রান। কম আলোর সাহায্য আর টেল-এন্ডার নবদীপ সাইনির দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিল্লিকে এক পয়েন্ট ছিনিয়ে নিতে সাহায্য করেছে। সোমবার রাজধানীর অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ম্যাচের শেষ দিনে তামিলনাড়ুর কাছে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু, বাধা হয়ে দাঁড়ায় রাজধানীর কম আলো আর নবদীপ সাইনি।
ঘরের মাঠ কোয়েম্বাটোরে সৌরাষ্ট্রকে হারিয়ে তামিলনাড়ু দিল্লির বিরুদ্ধে খেলতে এসেছিল। তারা প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে তোলে ৬৭৪ রান। ডাবল সেঞ্চুরি করেন সাই সুদর্শন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সেঞ্চুরি করেন ওয়াশিংটন সুন্দর। জিতলে তামিলনাড়ু এই ম্যাচ থেকে সাত পয়েন্ট পেত। এই ম্যাচে তামিলনাড়ু ১৫৮.২ ওভার ব্যাট করেছে। দুই দিন ধরে ব্যাটিং করেছে সুন্দর-সুদর্শনদের বাহিনী। প্রথম ইনিংসে দিল্লি তুলেছিল ২৬৬ রান। তারা ১০০ ওভার ব্যাট করেছে। দিল্লির প্রাক্তন অধিনায়ক যশ ধুল প্রথম ইনিংসে করেন অপরাজিত ১০৫ রান।
Best actor of cricket goes to Navdeep saini in #DELvsTN #RanjiTrophy2024 #ranjitrophy pic.twitter.com/sRLb2WfMnx
— Anything Good (@Praveen11851683) October 21, 2024
ফলোঅনের সময় শুরুতেই যশ ধুলের উইকেট হারায় দিল্লি। সনৎ সাংওয়ান ২৩১ বলে করেন ৮৩ রান। দিল্লির অধিনায়ক হিম্মত সিং চটজলদি ৩৬ রান তোলেন। কিন্তু, তারপরও দিল্লির রান ৪ উইকেটে ১৫০ থেকে ৮ উইকেটে ১৮০ হয়ে যায়। সবাই যখন ভাবছে যে তামিলনাড়ুর জয় নিশ্চিত। সেই সময় বাধা হয়ে ওঠেন নবদীপ সাইনি। ওয়াশিংটন সুন্দর দুই ইনিংসেই তিনটি করে উইকেট পেয়েছেন। তাঁকে ইতিমধ্যে জাতীয় দলে নেওয়া হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের সিরিজে বাকি দুটি টেস্ট-এ দলে জায়গা পেয়েছেন সুন্দর।
আরও পড়ুন- এভাবেও ফিরে আসা যায়! ১ম টেস্ট উতরে খাদ থেকে ফেরার উদাহরণ কিউইর সাউদি
তবে, তার মধ্যেই উল্লেখযোগ্য হয়ে রইল সোনু যাদবের বোলিং। তাঁর একটি বাউন্স সাইনির হেলমেটে গিয়ে আঘাত করে। এই সময় সাইনি একটু নাটক করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দিল্লির ব্যাটার প্রথমে বুড়ো আঙুল তুলে আম্পায়ারকে বলেছিলেন যে তিনি ঠিক আছেন। কিন্তু, এরপরই তিনি সময় নষ্টের জন্য মাটিতে উপুড় হয়ে পড়েন। এর আগে আবার হিমাংশু চৌহানকে দেখা গিয়েছিল, উইকেট বাঁচাতে ডাইভ দেওয়ার পর কনুইতে সামান্য আঘাত পেয়ে যন্ত্রণায় কাতরাতে। হিমাংশুকে ঠিক করতে দিল্লি ফিজিওদের পাঁচ মিনিটের মত সময় লাগে। যা দেখে প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার ডব্লিউভি রমন অন এয়ার বলে বসেন, 'ইনজেকশন নিতে গিয়ে পাঁচ বছরের শিশু যেমন করে, হিমাংশু সেরকম করছে।' এসব হতেই সময় গড়িয়ে যায়। অন্ধকার নেমে আসায় আম্পায়ার খেলা বন্ধ করে দেন।