ক্রিকেটারদের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীনই মেজাজ হারালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান। অলরাউন্ডার মেহদি হাসান মিরাজের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়ালেন নাজমুল। বৃহস্পতিবার বোর্ডের সঙ্গে ধর্মঘট ডাকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে বৈঠক বসেছিল বিসিবি। তখনই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে রিপোর্ট।
ইএসপিএন-ক্রিকইনফো বলছে, প্রয়োজনের সময় মেহদি হাসান বিসিবি সভাপতির থেকে সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। অথচ তিনিই কিনা বোর্ডের বিরুদ্ধে অন্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে স্ট্রাইকে যোগ দিলেন! এমনকী নাজমুলের ফোনও মেহদি ধরেন নি বলে অভিযোগ। নাজমুল বৈঠক চলাকালীনই বলে বসেন, "মিরাজ, আমি তোমার জন্য কী না করেছি! অথচ তুমি আমার ফোনই ধরো নি। আজকের পর থেকে আমার ফোন থেকে তোমার নম্বর ডিলিট করে দেব আমি।"
আরও পড়ুন: বিসিবি-র আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্য়াহার করলেন শাকিবরা
গত সোমবার শাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মেহদির মতো জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটাররা বোর্ডের বিরুদ্ধে ধর্মঘট ডেকেছিলেন। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ, ক্লাব লিস্ট টুর্নামেন্ট এবং বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে কোনও স্যালারি ক্যাপ না থাকার পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটে কম বেতনের ইস্যুতেই শাকিবার বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। নিজেদের দাবিদাওয়া মিটিয়ে দেওয়ার হুংকার দেন বিসিবির কাছে। দাবি না মানা হলে ক্রিকেট খেলা থেকে বয়কট করবেন বলেও হুমকি দেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার এই ইস্যুতে শাকিবরা বিসিবি-র সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। শাকিবদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, তাঁদের সব দাবিই মেনে নেওয়া হবে। তারপরেই ফের বাংলাদেশ ক্রিকেটে ফেরে।
যদিও মিরাজের ঘটনায় বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাই চমকে গিয়েছেন। দলেরই একজন জানিয়েছেন, "মিরাজের ঘটনায় আমরা নড়ে গিয়েছি। যেভাবে বৈঠক শুরু হয়েছিল, সেখানে আমাদের বেশি কিছু বলার ছিল না। শাকিবই সব পয়েন্ট সামনে নিয়ে এসেছিল। বাকি আমাদের কারোরই দরাদরি করার মানসিকতা ছিল না। আমাদের বলা হয়েছে যে, সব দাবি মেনে নেওয়া হবে। কিন্তু আমরা এখনও ধোঁয়াশায় আছি। আমরা সত্যিই জানি না যে, ঠিক কত টাকা বাড়তে চলেছে। ধরা যাক ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ, সেখানেই বা কত টাকা বাড়বে আমাদের? কোনও পরিষ্কার নির্দেশিকা নেই।"