টুইটারে কার্যত নিরীহ পোস্ট করেছিলেন। আর তা নিয়েই তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। নেটিজেনদের একাংশ আবার কোহলিকে হিন্দু-বিদ্বেষী বলেও দাগিয়ে দিলেন। কোহলি টুইটারে লিখেছিলেন, কীভাবে দিওয়ালি স্পেশ্যাল বানাতে হয়, তা নিয়েই স্পেশ্যাল টিপস দেবেন তিনি।
"সামনের কয়েক সপ্তাহে আমি ব্যক্তিগত কিছু টিপস শেয়ার করব, যাতে পরিবার এবং প্রিয় লোকজনদের সঙ্গে একটা অর্থবহ দিওয়ালি উদযাপন করা যায়। আমার পিনটারেস্ট প্রোফাইল বিরাট কোহলি লাইক করে সঙ্গে থাকুন।" এমনটাই কোহলি ভিডিও পোস্ট করে বার্তা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: সৌরভদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন লক্ষ্মণ! দ্রাবিড়ের জায়গায় বসতে নারাজ তারকা
ভিডিওয় কোহলিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, "গোটা বছরটাই বিশ্বের সর্বত্র নিদারুণ কষ্টকর ছিল। বিশেষ করে ভারতে যেভাবে কোভিডের দ্বিতীয় ঝড় আছড়ে পড়ে। দিওয়ালির প্রস্তুতি সম্পন্ন করার আগে আমি বিশেষ কিছু টিপস শেয়ার করব।"
তবে নেটিজেনদের একাংশ মোটেই কোহলির এই টুইট ভালভাবে নেয়নি। এদের মধ্যে অনেকেই সাফ লিখেছেন, পরিবেশের জন্য ভুয়ো উদ্বেগ প্রকাশ করছেন কোহলি। অনেকের বক্তব্য, নিজের জ্ঞান স্রেফ ক্রিকেটের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ রাখুন তিনি।
একজন নেটিজেনের বক্তব্য, "হিন্দুদের উৎসব নিয়ে লম্বা চওড়া কথা বলা এখন হালের ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা আমাদের উৎসব প্রাচীনকাল থেকে নিজেদের রীতি নীতি মেনে উদযাপন করে আসছি। এই বিষয়ে অহেতুক কোনও জ্ঞান শুনতে রাজি নই। এই নির্বোধ কাজ কারবার অবিলম্বে বন্ধ হোক।"
তবে অনেকেই আবার কোহলির দিওয়ালি টুইটে তারকার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরা লিখেছেন, অযথাই কোহলির প্রতি বিদ্বেষ দেখাচ্ছেন নেটিজেনরা। তাঁদের বক্তব্য, কোহলি ভুল কিছু বলেননি। স্রেফ পরিবেশ নিয়ে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আরাধনা দাস নামের এক নেটিজেন কোহলিকে সমর্থন করে বলেছেন, "কোহলি কখন বলেছেন যে দিওয়ালিতে উনি কিছু শেখাবেন? উনি স্রেফ বলেছেন, কিছু টিপস শেয়ার করবেন। আপনি সেটা গ্রহণ করবেন কিনা, সেটা আপনার ব্যাপার। কোহলির টিপস মেনে দিওয়ালি সেলিব্রেট করা মোটেই বাধ্যতামূলক নয়। কোহলি আর অনুষ্কাকে ট্রোল করার জন্য স্রেফ একটা অজুহাত খোঁজে সবাই।"
সোমবার বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ভারত নামছে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। তাঁর আগে ফের একবার যে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন কোহলি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন