কেরিয়ারের শেষ ম্যাচ খেললেন সানিয়া। হায়দরাবাদের যে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী টেনিস স্টেডিয়ামে সানিয়ার উত্থান এটিপি টুর্নামেন্ট জিতে সেখানেই গত রবিবার প্রদর্শনী ম্যাচের পর আলবিদা জানিয়েছেন নিজের পেশাদারি কেরিয়ারকে।
সানিয়ার ফেয়ারওয়েল ম্যাচে হায়দরাবাদে চাঁদের হাঁট বসে গিয়েছিল। রোহন বোপান্না, যুবরাজ সিং, প্রিয় বন্ধু বেথানি মাটেক স্যান্ড যেমন ছিলেন, তেমনই সানিয়াকে কোর্টে শেষবারের মত সরাসরি চাক্ষুস করতে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু, জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন মহম্মদ আজহারউদ্দিন, ইরফান পাঠান, চিত্রতারকা দুলকির সালমানরা। একের পর এক তারকার উপস্থিতি। এর মধ্যেই অনুপস্থিত থাকলেন সানিয়ার স্বামী শোয়েব মালিক।
আরও পড়ুন: সানিয়া মির্জাকে ‘বাজেভাবে ছুঁয়ে কুকীর্তি’ পাঠানের! চরম সমালোচনায় ভেসে গেলেন অলরাউন্ডার
যার পরে দুই তারকার ডিভোর্সের জল্পনা আরও জোরালো হল। এমনিতেই গত কয়েক মাস ধরেই সানিয়ার সঙ্গে শোয়েবের বিচ্ছেদের গুঞ্জন নিয়ে ঝড় বয়ে গিয়েছে দুই দেশের ক্রীড়া মহলে। গত নভেম্বর থেকে একাধিক পাক প্রচারমাধ্যমে বলা হয়, গত পাঁচ মাস ধরেই নাকি দুজনে আলাদা থাকেন। শোয়েব পাকিস্তানের লাহোরে থাকলেও সানিয়া দুবাইয়ে থাকেন। দুজনের সম্পর্কে চিড় ধরার কারণ হিসেবে বলা হয় এক টিভি শোয়ে শোয়েবের পরকীয়ায় জড়ানোর বিষয়টি।
এর মধ্যেই জানা যায় সম্পর্কে এমন টালমাটাল অবস্থার মধ্যেই দুজনে এক টিভি রিয়েলিটি শোয়ে হোস্ট হচ্ছেন। যে শোয়ের নাম রাখা হয়েছে, মির্জা-মালিক শো।
এমন জল্পনার আবহেই এক পাকিস্তানি ক্রিকেটার সরাসরি প্রচারমাধ্যমে বলে দিয়েছেন, "এটা আমাদের বিষয়। আমরাই সমাধান করে ফেলব।"
সানিয়ার সঙ্গে শোয়েবের সম্পর্ক যে আগের মত সত্যিই নেই তা গ্ল্যামার কুইনের ফেয়ারওয়েল ম্যাচ থেকেই স্পষ্ট। আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব থেকে দেশের ক্রীড়া জগতের নামকরা ব্যক্তিত্বরা হাজির থাকলেও গড়হাজির থেকেছেন স্বয়ং শোয়েব। এই বিষয়টি নিয়েই আপাতত সামাজিক গণমাধ্যম উত্তাল।
নেটিজেনদের তরফে প্রশ্ন করা হচ্ছে, সানিয়ার এমন বিশেষ দিনে কীভাবে অনুপস্থিত থাকেন শোয়েব!