ক্রিকেট মাঠে কত আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটে। বিশ্বের প্রাচীনতম এই খেলা প্রতিমুহূর্তে নিজেকে বদলাচ্ছে। ইতিহাস ঘাটলে অনেক পরিসংখ্যানই উঠে আসে। তবে অনেক সময় কষ্ট করে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না সেই ঘটনা। এমনই এক ঘটনা ঘটেছিল ১৯৯০-এ। নিউজিল্যান্ডের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের একটি ম্যাচে ১ ওভারে উঠেছিল ৭৭ রান।
তা কী করে সম্ভব! অসম্ভব মনে হলেও এমন ঘটনাই ঘটেছিল। পরিসংখ্যান বলে, ওভারের ছয় বলে ছয়টা ছক্কা হাকালেও ৩৬-এর বেশি ওঠেনা স্কোরবোর্ডে। তবে নিউজিল্যান্ডের সেই ক্রিকেটে আশ্চর্যজনক এক ঘটনা ঘটেছিল।
ঘটনাটি ১৯৯০ সালের ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখের। খেলাটা ছিল ক্রাইস্টচার্চে। ওয়েলিংটন শেল ট্রফির ম্যাচে ক্যান্টারবেরির মুখোমুখি হয়েছিল ওয়েলিংটন। ম্যাচটা ওয়েলিংটনের কাছে ছিল মাস্ট উইন। এমন আবহেই বেনজির রেকর্ড।
আরও পড়ুন শাশুড়ির সঙ্গে কার্তিকের ‘কানেকশন’ প্রকাশ্যে! কুর্নিশ করছে ক্রিকেট মহল
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ওয়েলিংটন ২০২ তুলেছিল স্কোরবোর্ডে। ক্যান্টারবেরি ব্য়াট করতে নেমে ৭ উইকেটে ২২১ তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েলিংটন ৩০৯ করে। জয়ের জন্য ক্যান্টারবেরির সামনে টার্গেট ছিল ২৯১ রানের। তবে মন্থর ব্য়াটিং করে খেলা ড্রয়ের দিকে নিয়ে চলেছিল ক্যান্টারবেরি।
Bert Vance concedes 77 in an over: https://t.co/mySIDcFGt1
When in Wellington during the 2015 World Cup, I tracked him down. Now a fashionista, Vance shared some lovely anecdotes, including some about Azhar and Shastri shopping.
Link: https://t.co/ID72pjCKT0 pic.twitter.com/EUAuv8L6Ja
— Jamie Alter (@alter_jamie) February 20, 2019
ম্যাচ নির্ঘাত ড্র। ১২ বলে ক্যান্টারবেরির জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৯৫ রান। হাতে ছিল ২ উইকেট। এমন সময়েই ওয়েলিংটন ফন্দি আঁটে। স্ট্র্যাটেজি ছিল নো, ওয়াইড বল করে রান করতে ক্যান্টারবেরিকে প্রলুব্ধ করা। সেই প্রলোভনে পা দিয়ে যদি শেষ ২ উইকেট হারায় ক্যান্টারবেরি।
আরও পড়ুন ফ্র্যাঞ্চাইজিদের চাপে হার মানল ভারতীয় বোর্ড! নক্ষত্রখচিত ম্যাচ হচ্ছে না
ওয়েলিংটন কোচ জন মরিসন এবং অধিনায়ক ম্যাকসুইনি নিজেদের মধ্যে রণকৌশল তৈরি করে বল তুলে দিয়েছিল পার্ট টাইম বোলার বার্ট ভ্যান্সকে। সেই ম্যাচের আগে ৬ মরশুম খেলে বোলিং করেছিল মাত্র ৩৯ ওভার।
সেদিন ইচ্ছাকৃত ১৭টি ফুলটস বল করেছিলেন সেই ভ্যান্স। প্রতিটি বলই ছিল ‘নো বল’! আর সেই বলে বাউন্ডারির পরে বাউন্ডারি হাকাচ্ছিলেন দুই প্রতিপক্ষ ব্য়াটসম্যান। ভ্যান্সের ‘বৈধ ডেলিভারি’ ছিল মাত্র পাঁচটি। কিন্তু নো বলের তোড়ে অন্য আর একটি বল গুনতে ভুলেই গিয়েছিলেন আম্পায়ার। সেই ওভারেই ৫ বলে ৭৭ রান উঠেছিল স্কোরবোর্ডে।
শেষ ওভারে ক্যান্টারবেরির সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়িয়েছিল ১৮ রানে। বাঁ হাতি স্পিনার প্রথম ৫ বলেই ১৭ রান খরচ করে ফেলেছিলেন। শেষ বলে আর রান করতে পারেননি ক্যান্টারবেরির ব্যাটসম্য়ান। এত উত্তেজনা সত্ত্বেও সেই ম্যাচ ড্র-য়ে পর্যবসিত হয়েছিল।
Read the full article in ENGLISH