/indian-express-bangla/media/media_files/2025/06/10/VhcjWo5mMRzKS2RWr7TJ.jpg)
ছবিটি প্রতীকী
Nicholas Pooran: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিধ্বংসী ব্যাটার নিকোলাস পুরান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। মাত্র ২৯ বছর বয়সে তাঁর এই সিদ্ধান্ত গোটা ক্রিকেট বিশ্বকে স্তম্ভিত করেছে। ২০২৫ আইপিএল টুর্নামেন্টেও লখনউ সুপার জায়ান্টের হয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিং করেছিলেন পুরান। কিন্তু, এবার তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করলেন। সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে একেবারেই স্বল্প অর্থ উপার্জন, এই অবসরের অন্যতম বড় কারণ। বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে ক্রিকেট খেলে এরথেকে অনেক বেশি টাকা কামাতে পারেন তিনি।
খুব বেশি টাকা দেয় না ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড
পুরানের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ারের বয়স মাত্র ৯ বছর। এরমধ্যে তিনি ৬১ ওয়ানডে এবং ১০৪ টি-২০ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। ইতিমধ্য়ে তাঁর বিধ্বংসী ব্যাটিং এবং দুর্দান্ত উইকেটকিপিং সকলের নজর কেড়েছিল। এর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন দেশের হয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগও খেলেন। মনে করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার জন্য তিনি এতটাই কম টাকা পান যে শেষপর্যন্ত জাতীয় দল থেকে অবসর গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। একটি রিপোর্ট মারফৎ জানা গিয়েছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে পুরান ওয়ানডে ম্য়াচের জন্য ১ লাখ ৯৬ হাজার ৯৪৬ টাকা এবং টি-২০ ম্য়াচের জন্য ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৬৬ টাকা পেতেন।
অন্যদিকে, আইপিএল টুর্নামেন্টের কথায় আসা যাক। ২০২৫ আইপিএল (IPL 2025) টুর্নামেন্টে তিনি ২১ কোটি টাকায় লখনউ সুপার জায়ান্টের হয়ে খেলেছিলেন। গোটা টুর্নামেন্টে তিনি মোট ১৪ ম্য়াচ খেলেন। আর সেকারণেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে এবার পুরান ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেই বেশি করে ফোকাস করতে চান। আইপিএল ছাড়াও পুরান দক্ষিণ আফ্রিকা টি-২০ লিগ, আইএলটি২০ লিগ এবং ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলেন।
এর আগেও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার নিয়েছেন অবসর
ওয়েস্ট ইন্ডিজের (West Indies Cricket Team) বেশ কয়েকজন তারকা ক্রিকেটার ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগকেই সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। আর সেকারণে তাঁরা ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। এই তালিকায় নাম রয়েছে ক্রিস গেইল, কায়রন পোলার্ড এবং ডোয়েন ব্রাভোর। এই ক্রিকেটাররা গোটা বিশ্বজুড়ে আলাদা-আলাদা ক্রিকেট লিগ খেলে থাকেন। আইপিএল টুর্নামেন্টেও বেশ কয়েকবছর নিজেদের প্রতিভার প্রতি সুবিচার করেছেন। কিন্তু, এভাবে যদি ক্রিকেটাররা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলার জন্য জাতীয় দলের হাত ছেড়ে দেন, তাহলে অদুর ভবিষ্যতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে বড়সড় সমস্যার মুখে পড়তে হবে।