একদিন আগেই স্ট্রাইকার হিসাবে দিমিত্রি পেত্রোতাসের নাম ঘোষণা করে চমক দিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই মহামেডানও সই করিয়ে ফেলল তারকা নাইজেরীয় স্ট্রাইকার আবিওলা দাউদাকে।
ইউরোপে খেলার বিপুল অভিজ্ঞতা নিয়ে খেলতে আসছেন কলকাতায়। একাধিক শীর্ষস্থানীয় ইউরোপিয়ান লিগে তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ১৪০+ গোল। খেলেছেন গ্রিস সুপার লিগ, স্কটিশ প্রিমিয়ারশিপ, আলসভ্যালস্ক্যান, সার্বিয়ান সুপার লিগ, তুরস্কের সুপার লিগেও।
আরও পড়ুন: মহামেডানের মুখের গ্রাস কাড়ল ইস্টবেঙ্গল! গেইলের দেশের সুপারস্টার এবার লাল-হলুদে
গ্রাসরুট হাইল্যান্ডার্সের হয়ে যুব পর্যায়ে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই এক এজেন্টের নজরে পড়ে যান তিনি। সেই এজেন্ট ভিক্টর ম্যাকডোনাল্ড সুইডেনের চতুর্থ ডিভিশনের সলভেসবার্গ গলফে সই করাতে সাহায্য করেন। ২০০৭-এ সুইডিশ সেই লিগের সেরা ফরোয়ার্ড হন প্ৰথম অবির্ভাবেই। একাধিক আলভেনস্ক্যান ক্লাব তাঁকে সই করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
তবে তিনি যোগ দেন কালমার এফএফ-এ। কালমারে থাকার সময় সুইডিশ চ্যাম্পিয়নশিপ (২০০৮), সুইডিশ সুপার কাপ (২০০৯) এবং দু-বার সুইডিশ কাপের রানার্স হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন।
আরও পড়ুন: ইস্টবেঙ্গল সহ একাধিক ক্লাবের প্রস্তাব, তবু কেন বেঙ্গালুরুতেই! আসল কারণ ফাঁস রয় কৃষ্ণের
২০১৩-য় সুইডেনের পাঠ চুকিয়ে দাউদা চলে আসেন জেলেন সুপার লিগায় বিখ্যাত রেড স্টার বেলগ্রেডের হয়ে খেলার জন্য। এরপরে লোনে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ডাচ লিগের বিখ্যাত এরিডিভিসেতে। তারপরে গ্রিক সুপার লিগে আট্রিমিটোসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার আগে খেলেছিলেন স্কটিশ প্রিমিয়ারশিপের হার্ট অফ মিডলোথিয়ানে। ২০১৬/১৭ মরশুমে গ্রিক সুপার কাপে পাঁচ গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হন। সুপার লিগে ৯ গোল করে দলকে চতুর্থ স্থানে ফিনিশ করতেও সাহায্য করেছিলেন।
এরপরে গ্রিক সুপার লিগে এইএল এবং পেনটোলিকসের হয়ে খেলার আগের এক মরশুম কাটান তুরস্কের সুপার লিগে জিরেসুনস্পরের হয়ে। ২৮ ম্যাচে ১২ গোল করেন তুরস্কে।
কলকাতার বিখ্যাত ক্লাবে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার আগে দাউদাকে শেষ দুই মরশুম কাটিয়েছেন এপোলো সিমির্নিসে। সবমিলিয়ে ইউরোপের একাধিক লিগে ৪২৪ ম্যাচ খেলে ১৫৫ গোল তাঁর নামের পাশে।
আপফ্রন্টে দাউদা জুটি বাঁধবেন ত্রিনিদাদ টোব্যাগো স্ট্রাইকার মার্কাস জোসেফের সঙ্গে। তারকা দুই ফরোয়ার্ড যে প্রতিপক্ষ রক্ষণের ঘুম উড়িয়ে দেবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
সবমিলিয়ে মহামেডান চলতি মরশুমে পাঁচ বিদেশিকে সই করিয়ে ফেলল সাদা-কালো।ব্রিগেড। ডিফেন্ডার হিসাবে আগেই মহামেডান সই করিয়েছিল সাহির শাহিন এবং অসুমানে এনদিয়ায়েকে। মিডফিল্ডার হিসাবে এসেছেন তাজিকিস্তানের নুরুদ্দিন দাভরোনভ।