যৌন সঙ্গম, পার্টি! একদম করা যাবে না। এমনটাই জানিয়ে দিল টোকিও অলিম্পিকের আয়োজক রা। গত বছরে অলিম্পিক স্থগিত হয়ে গিয়েছিল অতিমারীর পরিস্থিতির কারণে। এবার কোভিডের প্রকোপ কমলেও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিয়ে কোনোরকম আপোষ করতে রাজি নয় গেমস কর্তৃপক্ষ। তাই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির পক্ষ থেকে চারটি নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে, যা কার্যত এথলিটদের কাছে 'গাইডবুক' হয়ে থাকবে।
'গেমস ভিলেজ' সাধারণত বেশ রঙিন হয়ে থাকে। দেদার স্ফূর্তি, মজার উপকরণ থাকে অলিম্পিকের গেমস ভিলেজে। প্রাপ্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, লন্ডন অলিম্পিকে ৭৫ শতাংশ এথলিটই নাকি যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছিলেন। রিও গেমসে আইওসি (আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি) নাকি ৪ লক্ষ ৫০ হাজার কন্ডোম বিতরণ করেছিল এথলিটদের মধ্যে।
আরো পড়ুন: মিয়া খলিফাদের পাত্তাই দিলেন না, মোদির সরাসরি টুইট পিটারসেনকে
টোকিওয় এই সঙ্গমের উপরেই কড়া বিধিবিষেধ জারি করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই এথলিটদের বলে দেওয়া হয়েছে গেমস ভিলেজে টুর্ণামেন্ট শুরুর মাত্র পাঁচদিন আগে প্রবেশের অনুমতি পাবেন। খেলা শেষ হওয়ার দুদিনের মধ্যেই পাততাড়ি গোটাতে হবে।
গাইডবুকে বলে দেওয়া হয়েছে, শুধু যৌন সম্পর্কই নয়, আলিঙ্গন বা হ্যান্ডসেকের মত কোনো রকম শারীরিক সম্পর্কও রাখা যাবে না। পারস্পরিক বার্তা বিনিময় করার সময় দু মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
গাইডবুকের দ্বিতীয় নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিদেশ থেকে জাপানে আসার পর কোনোরকম সাইটসিয়িং বা শপিংয়ে অনুমতি দেওয়া হবে না। এয়ারপোর্ট হোক বা টোকিও শহরে কোথাও যেতে পারবেন না অংশগ্রহণকারী এথলিটরা। পর্যটকদের স্থান, রেস্তোরাঁ, বার- নৈব নৈব চ! পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। খাওয়া এবং ঘুমানোর সময়টুকু ছাড়া সবসময় মাস্ক পরে থাকতে হবে।
তৃতীয় নির্দেশিকায় বলা হয়েছে ঘনঘন স্বাস্থ্যের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ওয়াকিবহাল রাখতে হবে। এথলিটদের স্বাস্থ্যের জন্যই একটি হেলথ এপ বানানো হচ্ছে। সেখানে নিজের স্বাস্থ্যের বিষয়ে খুঁটিনাটি নজর রাখতে হবে প্রত্যেককে। দেশ ছাড়ার আগে এবং জাপানে আসার পর একবার করে কোভিড টেস্ট করতে হবে। টুর্নামেন্ট চলাকালীন প্রতি চারদিন অন্তর কোভিড টেস্ট হবে সকলের।
মিডিয়া এবং গেমসের বাকিদের জন্য শীঘ্রই নয়া নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
Read the full article in ENGLISH
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন