/indian-express-bangla/media/media_files/2025/01/25/D8KuJZlsxznAFeOCavF0.jpg)
West Indies vs Pakistan: মুলতানে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করার পর পাকিস্তানের নোমান আলি। (ছবি- পিসিবি/টুইটার)
Pakistan cricketer Noman Ali: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ম্যাচের প্রথম দিনে ১২ ওভারের প্রথম তিন বলে নোমান আলি পাকিস্তান ক্রিকেটে ইতিহাস তৈরি করলেন। তিনি টেস্ট ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক করা প্রথম পাকিস্তানি স্পিনারের শিরোপা পেলেন। ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ নোমানের জন্যই ৩৮ রানে ৭ উইকেট, স্কোরে পৌঁছে গেল। পরপর তিন জন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটারকে আউট করেন নোমান। এর ফলে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় যে তাদের হিতে বিপরীত হয়েছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেটা বুঝতে আর দেরি হয়নি।
প্রথমে জাস্টিন গ্রিভস ১ রানে দ্বিতীয় স্লিপে বাবর আজমের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। তারপরে টেভিন ইমলাচ সুইপ শট মারতে গিয়ে প্রথম বলেই আউট হন। শেষে কেভিন সিনক্লেয়ার অফস্টাম্প থেকে ঘুরে আসা একটি বলে মারতে যান। আর, দ্বিতীয় স্লিপে বাবর আজমের হাতে ধরা পড়েন। তাতেই তৈরি হয় রেকর্ড।
নোমানের আগে, পুরুষদের টেস্ট ক্রিকেটে পাকিস্তানের সমস্ত হ্যাটট্রিক পেসাররাই করেছিলেন। ওয়াসিম আক্রম প্রথম পাকিস্তানি বোলার যিনি ১৯৮৮-৯৯ মরশুমে হ্যাটট্রিক করেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দু'বার হ্যাটট্রিক করেছিলেন আক্রম। পাকিস্তানের অন্য যে বোলাররা হ্যাটট্রিক করেছিলেন, তাঁরা হলেন- আবদুল রজ্জাক (শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে), মহম্মদ শামি ( শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে), নাসিম শাহ (বাংলাদেশের বিরুদ্ধে)। শ্রীলঙ্কার রঙ্গনা হেরাথের পরে ৩৮ বছর বয়সি নোমানই টেস্ট ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক করা দ্বিতীয় বয়স্ক খেলোয়াড়।
ম্যাচের আগে, প্রাক্তন পেসার এবং পাকিস্তানের বর্তমান প্রধান কোচ আকিব জাভেদ স্পিনার সহায়ক পিচ তৈরির সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে জানান যে, আগেই পাকিস্তানে স্পিনার সহায়ক পিচ তৈরি করা হলে পাকিস্তান ক্রিকেট দল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও পৌঁছে যেতে পারত।
𝐎𝐧𝐞 𝐢𝐧𝐜𝐫𝐞𝐝𝐢𝐛𝐥𝐞 𝐟𝐞𝐚𝐭! 😍
— Pakistan Cricket (@TheRealPCB) January 25, 2025
Hat-trick hero Noman Ali makes history in Multan 🙌#PAKvWI | #RedBallRumblepic.twitter.com/2xRLeYpVXl
ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠকে আকিব বলেন, 'টেস্ট ক্রিকেটের নিয়মই হল ঘরের মাঠে জেতা। যদি ঘরের মাঠে জিততে পারেন এবং বাইরে ২-৩টি টেস্ট জিততে পারেন তো ফাইনালে পৌঁছনোর সম্ভাবনা থাকে। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলেছি। সেখানকার পিচের জন্যই কোনও স্পিনার নামাইনি। সেরকম, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের পিচও ছিল পেসার সহায়ক। প্রতিটি দেশ ম্যাচ জেতার জন্য তাদের সুবিধা অনুযায়ী পিচ বানায়। স্পিন-সহায়ক পিচ বানালে তাহলে সমস্যাটা কোথায়? যদি পেস-সহায়ক পিচ বানানো হয়, তখন কিছু লোক বলে যে জয়ী দেশ ক্রিকেটে এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু যদি স্পিন-সহায়ক পিচ বানানো হয়, অমনি বলে যে ক্রিকেটে নাকি পিছিয়ে যাচ্ছে। আমি এটা বুঝতে পারি না।'
আরও পড়ুন- সঞ্জু, চাহাল নেই কেন? খেয়াল-খুশির দলবাছাই নিয়ে নির্বাচকদের কাঠগড়ায় তুললেন হরভজন
তবে, প্রথমদিকের বেশিরভাগ উইকেট পড়ে গেলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেল এন্ডাররা লড়াই ছাড়েননি। গুদাকেশ মতি প্রথম অর্ধশতক (৫৫) পূর্ণ করেন। কেমার রোচ করেন ২৫ রান। জোমেল ওয়ারিকান করেন অপরাজিত ৩৬ রান। যার ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬৩ রানে পৌঁছয়। মধ্যাহ্নভোজের ঠিক আগে নোমানর ৬ষ্ঠ উইকেট নেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ৪১ রানে ৬ উইকেট নেন। তাঁর পার্টনার স্পিনার সাজিদ খানও দুটি উইকেট নিয়েছেন। এই ম্যাচে টেস্ট অভিষেকে কাশিফ আলিও ১টি উইকেট নিয়েছেন। পাকিস্তান প্রথম টেস্ট জিতেছে।