বিশ্বকাপ শুরুর আগে লড়াইয়ের লাইন আপ ছিল রোনাল্ডো বনাম মেসি। সর্বকালের সেরা দুই কিংবদন্তি। তবে ফাইনালের পরে মেসির সঙ্গেই আলোচনায় উঠে এসেছেন বছর চব্বিশের কিলিয়ান এমবাপে। মেসির অস্তগামী সূর্যের আলোয় তারুণ্যের দীপ্তি ছড়িয়ে গিয়েছেন এমবাপে। মাত্র ২৪ বছর বয়সেই জোড়া বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে ফেলা এমবাপেকে আগামীর সুপারস্টার বলা হচ্ছে এখনই। মেসি, রোনাল্ডোর পরবর্তী প্রজন্মের ব্যাটন যে এমবাপের হাতেই উঠতে চলেছে, তা পাকা হয়ে গিয়েছে।
গোটা টুর্নামেন্ট জুড়েই দুর্ধর্ষ। আট গোল করে গোল্ডেন বুটের মালিক-ও তিনি। মেসির সঙ্গে লড়াইয়ে সোনালী বুট ছিনিয়ে নিয়েছেন। মেসি পেয়েছেন গোল্ডেন বল। তবে রোনাল্ডো নাজারিও বলে দিচ্ছেন, গোল্ডেন বল-ও এমবাপের প্রাপ্য।
আরও পড়ুন: নেইমারকে রাখলে আমাকে ছাড়তে হবে, পিএসজিকে ক্লাব ছাড়ার হুমকি এবার এমবাপের
ব্রাজিলিয়ান মিডিয়া আপোস্টাগোলস-কে ২০০২ বিশ্বকাপের হিরো রোনাল্ডো নাজারিও বলে দিয়েছেন, "প্ৰথম ম্যাচ থেকেই ফ্রান্স বুঝিয়ে দিয়েছিল ওঁরা ডাবল করতে নেমেছে। একাধিক চোট-আঘাত সত্ত্বেও ফ্রান্স টুর্নামেন্টে ফেভারিট হিসাবে খেলতে নেমেছিল। টুর্নামেন্টে চেয়েছিলাম ফ্রান্স-ব্রাজিল ফাইনাল হোক। ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনালে ছিটকে গেলেও ফ্রান্স আমার ভবিষ্যৎ বাণী নির্ভুল প্রমাণ করে ফাইনালে উঠেছে।"
কিলিয়ান এমবাপের খেলা তাঁর সেরা সময়ের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, এমনটা জানিয়ে দিচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি। বলে দিয়েছেন, "কিলিয়ান এমবাপের খেলা সবথেকে বেশি প্রভাবিত করেছে আমাকে। ওপেনিং ম্যাচ থেকে শুরু করে ফাইনাল পর্যন্ত দুর্ধর্ষ খেলে গিয়েছে ও। গোল না করলেও ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসিস্টে সহায়তা করে গিয়েছে দলকে। ইংল্যান্ড ম্যাচ -ই যেমন।"
আরও পড়ুন: রাত ভালোই কাটল! এমবাপের সঙ্গে রাঁধুনির ‘অস্বস্তিকর’ ভিডিও ফাঁস, চমকাল সবাই, দেখুন
"বিশ্বকাপে দ্রুতগতির বেশ কয়েকজন খেলে গেল। তাঁদের মধ্যে এমবাপে অন্যতম সেরা। ওঁকে দেখলে আমার সেরা সময়ের কথা মনে পড়ে যায়। ছোট স্পেস থেকেও কীভাবে গোলের দরজা খোলা যায়, সেই বিষয়ে ও সিদ্ধহস্ত। বল ছাড়াও এবং ওয়ান টু ওয়ান সিচ্যুয়েশন ও দুরন্ত।"
এমনটা জানিয়ে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মেসি নিজ এমবাপের হাতেই সোনার বল ওঠা উচিত ছিল, "ওঁর গোলমুখী শট নেওয়ার সংখ্যাও যদি ধরা হয়, সেটাও দুর্ধর্ষ। ফাইনালেও যেমন চার-চারটে গোল করে গেল। টেকনিক্যালি ও বাকিদের থেকে এগিয়ে। কার্যত অপ্রতিরোধ্য। ওঁকেই বিশ্বকাপের সেরা প্লেয়ারের তকমা দেওয়া উচিত ছিল।"
ফাইনাল শুরুর আগে মেসি-এমবাপে দুজনেই পাঁচটি গোল করে গোল্ডেন বুট পাওয়ার লড়াইয়ে ছিল। তবে এমবাপে জোড়া পেনাল্টি সমেত হ্যাটট্রিক করে টেক্কা দিয়ে যান আর্জেন্টাইন কিংবদন্তিকে। অন্যদিকে, মেসি ফাইনালে জোড়া গোল করলেও শেষমেশ ছুঁতে পারেননি ক্লাব সতীর্থকে।
বিশ্বকাপ শেষে রোনাল্ডোর এই মন্তব্য নতুন করে বিতর্কের ইন্ধন দিয়ে গেল।