Pakistan vs Bangladesh, 2nd Test Report: এক টেস্ট আগেই ইতিহাস গড়েছিল। প্ৰথমবার পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট জয়ের পর। দ্বিতীয় টেস্টে জিতে বাংলাদেশ ইতিহাসের সীমানা আরও বাড়িয়ে ফেলল। প্ৰথমবার বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ-ই জিতল না। জয় এল হোয়াইটওয়াশ করে। তাও আবার পাক মুলুকে।
দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান মাত্র ১৭২ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮৫ রানের। পঞ্চম দিন বাংলাদেশ সেই লক্ষ্যে সফলভাবে চেজ করল মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে। ৬ উইকেটে রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট জিতে ইতিহাস গড়ে ফেলল বাংলাদেশ।
রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের চেজ সহজ করে দেয় টপ অর্ডারের সকলেই অবদান রাখায়। ওপেনার জাকির হাসান (৪০), নাজমুল হোসেন শান্ত (৩৮), মুমিনুল হক (৩৪) এমনকি সাদমান ইসলাম (২৪) সকলেই ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন। মুমিনুল আউট হওয়ার পর বাংলাদেশকে জয়ের দিকে টেনে নিয়ে যান মুশফিকুর রহিম (২২) এবং সাকিব আল হাসান (২১)।
দুই দল সবমিলিয়ে সাতটা টেস্ট সিরিজ খেলেছে। প্ৰথম ছয়টাই টানা জিতেছিল পাকিস্তান। তবে এবার পাকিস্তানের মাটিতেই রং বদল। ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নিয়ে বাংলাদেশ ফিরছে দেশে। প্ৰথম টেস্টে পাকিস্তানের হারের পর রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় টেস্টের প্ৰথম দিন ধুয়ে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। ভাবা হয়েছিল পাকিস্তানের মাটিতে বাংলা-ওয়াশের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। তবে শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি হাসল নাজমুল শান্তর বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন- জিম্বাবোয়ে যাব... বাংলাদেশের বিপক্ষে বারবার হোঁচট বাবরের! ফের জিম্বাবর ধ্বনিতে রক্তাক্ত পাক তারকা
১৮৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনার ক্রিজে অপরাজিত থেকে চতুর্থদিন মাঠ ছেড়েছিল। পঞ্চম দিনেও পাক বোলারদের ম্যাচে ফেরার কোনও সুযোগ দেননি জাকির হাসান, সাদমান ইসলাম দুজনে। হাফসেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়ে দেওয়ার পর বিপদসঙ্কেত হাজির হয়েছিল পাক শিবিরে।
সেই সময় জয়ের থেকে মাত্র ১২৭ রান দূরে ছিল বাংলাদেশ। ক্যাপ্টেন শান মাসুদ মরিয়া হয়ে বল তুলে দিয়েছিলেন মির হামজার হাতে। হতাশ করেননি তিনি। দুর্ধর্ষ ডেলিভারিতে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন জাকির হাসানকে। হঠাৎ করে উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের রান তোলার গতি ধাক্কা খায়। চাপ বাড়িয়ে এই সময় মির হামজা এবং মহম্মদ আলি টানা ২৪টি ডট বল করে যান। ক্যাপ্টেন নাজমুল শান্ত এই চাপ ঝেড়ে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছিলেন আক্রমণাত্মক মনোভাবে।
১৫তম ওভারে বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। তবে চাপ বজায় রেখে যান মির হামজা। হামজার বলে স্লিপ কর্ডনে খোঁচাও দিয়েছিলেন শান্ত। শেষমেশ শান্ত শিকার হন মির হামজার বলেই। পরের ওভারেই খুররম শেহজাদ আউট করেন সাদমান ইসলামকে। জোড়া উইকেট হারিয়েও বাংলাদেশ অবশ্য শেষমেশ জয়ের মুখ দেখে দৃঢ়চেতা লড়াইয়ে ভর করে।