PAK vs BAN 2nd Test: বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের সিরিজ হারের পিছনে রয়েছে পিসিবির বিশাল ভুল? এমনটাই কিন্তু জানা গিয়েছে। ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের কাছে ২-০ ব্যবধানে লজ্জাজনক হারের মুখে পড়েছে পাকিস্তান। মাঠে তাদের পারফরম্যান্স ছিল বেশ খারাপ। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ ফেলেছেন পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা। এই পরিস্থিতিতে জানা গিয়েছে যে, পিসিবি বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজের আগে খেলোয়াড়দের জন্য ফিটনেস টেস্টের আয়োজন করেনি। বর্তমান ক্রিকেটে ফিটনেস টেস্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার আয়োজন করা না হলে যে কী ঘটতে পারে, সেটা পিসিবি তথা বিশ্ব ক্রিকেটকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বাংলাদেশ সিরিজ।
এই পরিস্থিতিতে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের কাছে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হারের পর পাকিস্তান ক্রিকেটের গ্রাফ নতুন করে নিম্নমুখী। পাকিস্তান এই সিরিজে ফেভারিট ছিল। কিন্তু, সেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের খেলা ক্রিকেট দুনিয়াকে হতবাক করে দিয়েছে। পাকিস্তানে প্রথম টেস্ট ম্যাচে ১০ উইকেটে হেরেছে। দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে ছয় উইকেটে পরাজিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এই পরাজয়ের জন্য পাকিস্তানকেই দায়ী করছেন। পাকিস্তান মাঠে বেশকিছু ভুল করেছে। যা দেখে অনেকেরই মনে হয়েছে যে তারা সিরিজটা হালকাভাবে নিয়েছিল। ম্যাচে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ ফেলেছেন। যার ফলে ম্যাচ তাঁদের হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। এই ক্যাচ ফেলার পিছনে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের ফিটনেসের অভাবকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আর, সেই দোষারোপ যে অমূলক নয়, তা স্পষ্ট করে দিচ্ছে ম্যাচের ফলাফল। তথ্য বলছে, বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে ফিটনেস টেস্ট নেয়নি পিসিবি। এক প্রতিবেদনে এর আগে দাবি করা হয়েছিল যে পিসিবি টেস্ট সিরিজের আগে খেলোয়াড়দের জন্য ফিটনেস টেস্টের আয়োজন করবে। কিন্তু, আরফা ফিরোজ নামে একজন পাকিস্তানি সাংবাদিক দাবি করেছেন, এই টেস্ট সিরিজের আগে পিসিবি খেলোয়াড়দের জন্য কোনও ফিটনেস পরীক্ষার ব্যবস্থাই করেনি। অভিযোগ সত্যি হলে, বলতেই হয় যে এই সিরিজ মিসের জন্য পিসিবি অন্যতম দায়ী। কারণ, বর্তমান ক্রিকেটে ফিটনেস সেরা দল নির্বাচনের অন্যতম প্রধান মাপকাঠি।
বাংলাদেশের কাছে সিরিজে এই পরাজয়ের ফলে পাকিস্তানের ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ (ডব্লিউটিসি) ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনাও ধাক্কা খেল। শীর্ষস্তরের লড়াইয়ে পৌঁছনোর জন্য বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের জয়ের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু, হেরে যাওয়ায় তারা বাবর আজমদের দল পিছিয়ে পড়ল। যদিও পাকিস্তান এখনও ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ছিটকে যায়নি। তবে, তাদের সামনের রাস্তা এখন বেশ কঠিন। পাকিস্তানের ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড এবং অ্যাওয়ে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জিততে হবে। ২০২২ সালে শেষবার পাকিস্তান সফরে পাকিস্তানকে ইংল্যান্ড ৩-০ ব্যবধানে সিরিজে পরাজিত করেছিল। আর, দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠ তো এশিয়ান দলগুলোর জন্য সবসময়ই বধ্যভূমি। তাই টেস্ট দুনিয়ার আগামিদিনটা সহজ হবে না পাকিস্তান ক্রিকেট দলের কাছেও।