Sajid Khan vs England: তাঁর বোলিং দেখে নাকি ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিসের সময়কালের মতই পাকিস্তানি বোলারদের ভয় পেয়েছেন ইংরেজ ব্যাটাররা। এমনটাই বলছেন ক্রিকেট ভক্তরা। আর, সেই বোলার সাজিদ খান রসিকতা করে বলছেন, 'আসলে ভগবান আমাকে এমনই চেহারা দিয়েছেন যে লোকজন ভয় পেয়ে যায়।' ইংল্যান্ড শিবিরে ধস নামানো পাকিস্তানের বোলারদের সংগ্রহ করা ৪০টি উইকেটের মধ্যে ৩৯টি নিয়েছেন সাজিদ খান ও নোমান আলি।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পারফরম্যান্সের আচমকা অসাধারণ পরিবর্তনের পিছনে দুই পাক বোলার সাজিদ ও নোমান। প্রথম টেস্টের পর সিরিজে পিছিয়ে থাকা পাকিস্তান স্পিনিং ট্র্যাক তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। আর, তারপরই দেখা গিয়েছে, অফ-স্পিনার সাজিদ খান ও নোমান আলি মিলে পাকিস্তান দলের নেওয়া ৪০টি উইকেটের মধ্যে ৩৯টি নিয়েছেন।
রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের নয় উইকেটের জয়ের পর একজন সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেন, 'আমরা দেখেছি যে আপনি আপনার বোলিং দিয়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের ভয় দেখাচ্ছিলেন। নোমানও উইকেট নিচ্ছিলেন। যেন, ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনিসের যুগ ফিরে এসেছে।' জবাবে সাজিদ খান বলেন, 'আমি কাউকে ভয় দেখাইনি। আপনারাই বলছেন যে আমি নাকি ভয় দেখিয়েছি। আসলে, ভগবান চেহারাটাই এমন দিয়েছেন যে আমি হাসলেও লোকে ভয় পেয়ে যায়।'
এর পাশাপাশি সাজিদ বলেন, 'সিরিজ জয়ের জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। আমার ওপর কোনও চাপ ছিল না। আমি দলে ফিরেছি। দেখলাম, বেশ কিছু লোক আমার ফেরাটাকে সমর্থন করলেন। নোমান ভাই দেশের অভিজ্ঞ স্পিনারদের একজন। তিনিই এখন আমার সঙ্গী। ভালো খেলেছেন। তাঁরও ম্যান অফ দ্য সিরিজ পুরস্কারটা সমানভাবে প্রাপ্য। এই জয়ের জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই।'
শুক্রবার ব্যাট করার সময় সাজিদ নিজের চিবুক কেটে ফেলেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর রক্তাক্ত শার্ট বদলাতে হয়েছে। তারপরও শনিবার তাঁকে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বল করতে দেখা গিয়েছে। ইংল্যান্ড স্পিনার শোয়েব বশিরের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেছেন দলের অধিনায়ক শন মাসুদ। তিনি জয়ের পর বলেন, 'সবাই একসঙ্গে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এটা একটা বিরাট ব্যাপার। এঁরা এমন সব লোক, যাঁদের আপনি বিশ্বাস করতে পারেন। আপনার জন্য রক্ত দিতে পারে। সাজিদ আক্ষরিক অর্থেই আমাদের জন্য গতকাল রক্ত দিয়েছে।'
আরও পড়ুন- সিরিজ হারের পরেই আরও কড়া গম্ভীর! কোহলি-রোহিতদের থেকে কাড়া হল বড় সুবিধা
এই সিরিজে প্রথম ম্যাচ হারার পর পাকিস্তান তাদের তিন প্রথমসারির খেলোয়াড়- বাবর আজম, নাসিম শাহ ও শাহিনশাহ আফ্রিদিকে বাদ দিয়েই বাকি দুটো ম্যাচের জন্য দল নামিয়েছিল। আর, তারপরই এল সাফল্য।