Pakistan Beats England in Multan 2nd Test: বাবর শাহিনকে বাদ দিতেই জয়ে ফিরল পাকিস্তান। ঘরের মাঠে সাড়ে তিন বছরের হারের দশা কাটিয়ে পাকিস্তান অবশেষে জয় পেল মুলতানে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে। নোমান আলি এবং সাজিদ খানের ঘূর্ণিতে ধসে গেল ইংল্যান্ড দল। ১৫২ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়ে পাকিস্তান আপাতত সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল।
২৯৭ রানের টার্গেট চেজ করতে নেমে ইংল্যান্ড মুলতানের টার্নিং ট্র্যাকে মাত্র ১৪৪ রানে গুটিয়ে গেল। চতুর্থ দিন মর্নিং সেশনেই পাকিস্তান জয় হাসিল করে নিল। বাঁ হাতি স্পিনার নোমান আলি দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেট শিকার করে যান ৪৬ রানের বিনিময়ে। নোমান আলির সঙ্গে স্পিনের ঘূর্ণি নিয়ে হাজির হলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়া সাজিদ খান। যিনি প্ৰথম ইনিংসে সাত উইকেট শিকার করেন। দুই তারকা মিলেই প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট শিকার করে যান।
পাকিস্তানের জয়ে যে যে রেকর্ড ভেঙেচুরে একাকার
জয় না পাওয়ার আক্ষেপ ঘুচল: এই জয়ের মাধ্যমে পাকিস্তান ২০২১-এর ফেব্রুয়ারির পর প্ৰথমবার টেস্ট জিতল ঘরের মাঠে।
রেকর্ডে পাক স্পিনাররা: নাসিম শাহ-শাহিন আফ্রিদিদের নিয়ে গড়া পেস আক্রমণ মাঠের বাইরে রেখে খেলতে নেমেছিল। আর পাক স্পিনারদের দাপটের প্রত্যাবর্তন ঘটল সাজিদ খান, নোমান আলির হাত ধরে। দুজনে মিলে দখল করলেন বিপক্ষের ১০ উইকেট।
আরও পড়ুন: IPL-এ আর ফিরব না! নিলামের আগেই ঝড় তুলে বিদায়ের ঘোষণা কিংবদন্তি স্টেইনের
এই নিয়ে টেস্ট ইতিহাসে সপ্তমবার এমন ঘটনা ঘটল যেখানে দুই বোলার প্রতিপক্ষ দলের দুই ইনিংসের সমস্ত উইকেট দখল করলেন। ১৯৭২ সালের পর এই ঘটনা প্ৰথম। ১৯৫৬-এ এশিয়ার মাটিতে এই ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটল। নোমান আলির ৮/৪৬ বোলিং ফিগার কোনও পাকিস্তানি স্পিনারের দ্বিতীয় সেরা বোলিং দৃষ্টান্ত।
মুলতানে এমন নজির কোনও বোলার ঘটাননি। সবমিলিয়ে দুই ইনিংস মিলিয়ে নোমান আলির ১১/১৪৭ বোলিং ফিগার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাক বোলারদের মধ্যে তৃতীয় সেরা।
টেস্টে পাকিস্তানি স্পিনারদের সেরা বোলিং প্রদর্শন: ৯/৫৬ – আব্দুল কাদির বনাম ইংল্যান্ড, লাহোর, ১৯৮৭
৮/৪১ – ইয়াসির শাহ বনাম নিউজিল্যান্ড, দুবাই, ২০১৮
৮/৪২ – সাজিদ খান বনাম বাংলাদেশ, মিরপুর, ২০২১
৮/৪৬ – নোমান আলি বনাম ইংল্যান্ড, মুলতান, ২০২৪
জয়ে ফেরার পর পাকিস্তান অধিনায়ক শন মাসুদ বলে দিয়েছেন, "প্ৰথম জয় সবসময়ই স্পেশ্যাল। বহুদিন কত দিন পেরিয়ে এল এই জয়। নোমান এবং সাজিদ যেভাবে বল করল, সেটা মোটেও সহজ ছিল না। মনে হচ্ছিল অভিজ্ঞ দুই বোলার নিজেদের সেরাটা দিয়ে গেল। আমাদের কোনও তৃতীয় বোলার ছিল না। এতেই ওঁদের অবদানের মাহাত্ম্য বোঝা যায়।"
READ THE FULL ARTICLE IN ENGLISH