ডোপিংয়ের দায়ে চার মাসের জন্য আহমেদ শেহজাদকে নিষিদ্ধ করল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পাক ওপেনার আহমেদকে গত ১০ জুলাই সাময়িক নির্বাসনে পাঠিয়েছিল পাক বোর্ড। সেদিন থেকেই তাঁর নির্বাসন কার্যকর করা হচ্ছে। আগামী ১১ নভেম্বর পর্যন্ত সাসপেন্ড থাকবেন তিনি।
চলতি বছর পাকিস্তান কাপের সময় তাঁর ডোপ টেস্ট করা হয়েছিল। রক্তে নিষিদ্ধ পর্দাথের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। ফলে রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। পিসিবি-র অ্যান্টি ডোপিংয় নিয়মের দু’টি ধারা লঙ্ঘন করেছেন তিনি। পিসিবি জানিয়েছে যে, আহমেদ নিজে তাঁর দোষ স্বীকার করে নিয়েছে। তবে পারফরম্যান্স বাড়ানো বা ঠকানোর কোনও অভিসন্ধি ছিল না তাঁর। আপাতত রিহ্যাবে থাকবেন আহমেদ। পিসিবি-র চেয়ারম্যান এহসান মানি জানিয়ে দিয়েছেন যে, ডোপিং ইস্যুতে তাঁরা বিন্দুমাত্র ছাড় দেবেন না ক্রিকেটারদের।
আরও পড়ুন: ডোপের দায়ে নির্বাসিত পাক ব্যাটসম্যান আহমেদ শেহজাদ
My doping case verdict is acceptable to me. I accept the sanction handed out by PCB. I inadvertently consumed a medicine which as an experienced cricketer I should have refrained from. I am fully committed to returning to cricket as soon as my ban is over (November 11, 2018.)
— Ahmad Shahzad ???????? (@iamAhmadshahzad) October 5, 2018
অন্যদিকে বছর ২৬-এর আহমেদ নিজেও এই বিষয়ে টুইট করেছেন। জানিয়েছেন, এটা তাঁর কাছে একটা শিক্ষা। যেটা সতীর্থ ক্রিকেটারদেরও ভাবাবে। তিনি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবেন বলেই লিখেছেন। তাঁর জন্য সকলকে প্রার্থনা করার অনুরোধও করেছেন আহেমদ। তিনি লিখলেন, “ডোপিংয়ের রায় আমি মেনে নিচ্ছি। পিসিবি-র সাসপেনশনও যথাযথ। আমি এমন একটা ওষুধ খেয়েছিলাম যেটা একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের খাওয়া উচিত ছিল না। আমার নির্বাসন (নভেম্বর ১১, ২০১৮) উঠে যাওয়ার পরেই ক্রিকেটে ফিরব।”
আহমেদ পাকিস্তানের হয়ে ১৮টি টেস্ট ও ৮১টি ওয়ান-ডে ও ২০টি আন্তর্জাতিক টি-২০ খেলেছেন। ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফর্ম্যাটে তাঁর ১৭৬ রান রয়েছে। গত ১৩ জুন স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হয়ে শেষবার টি-২০ খেলেছিলেন।