পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান আহমেদ শেহজাদকে ক্রিকেট থেকে সাময়িক নির্বাসনে পাঠাল সে দেশের ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে অভিযুক্ত হয়েছেন শেহজাদ। দোষ প্রমাণিত হলে চার বছর পর্যন্ত নির্বাসিত হতে পারেন তিনি।
গত মে মাসে পাকিস্তানের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট চলাকালীন শেহজাদের মূত্রের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সেখানেই নিষিদ্ধ পদার্থ পাওয়া যায়। শাহজাদের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একটি স্বাধীন বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। তাদের রিপোর্টই এমনটা নিশ্চিত করেছে।পিসিবি তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এক বিবৃতি মারফত জানিয়েছে যে, আগামী ১৮ জুলাই পর্যন্ত শেহজাদের কাছে সময় আছে, তিনি চাইলে‘বি’ স্যাম্পেল টেস্টের আবেদন জানাতে পারেন। আগামী ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে শেহজাদকে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের উত্তর দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ইন্দো-পাক ম্যাচে ফিক্সিংয়ের ছায়া, আকমলকে পিসিবি-র সমন
২০১৭-র মাঝামাঝিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পরে টেস্ট দল থেকে নিজের জায়গা হারান শেহজাদ। এমনকি গতবছর অক্টোবরের পরেও তিনি আর সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলেননি। গত মাসে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে দু’ম্যাচের টি-২০ সিরিজ খেলেছিলেন। কিন্তু জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সদ্যসমাপ্ত ত্রি-দেশীয় সিরিজে তিনি খেলেননি।
পারফরম্যান্স বর্ধক ড্রাগ নিয়ে মুখ পোড়ানোর ইতিহাস রয়েছে পাক ক্রিকেটারদের। ২০০৬-তে কিংবদন্তি পাক পেসার শোয়েব আখতার ও মহম্মদ আসিফ নিষিদ্ধ ড্রাগ নিয়েছিলেন। এরপর ২০১৫-তে এই ড্রাগস নিয়ে দু’বছর নির্বাসিত হয়েছিলেন বাঁ-হাতি স্পিনার রাজা হাসান। সম্প্রতি ইয়াসির শাহ ও আবদুর রহমানও এই একই কারণে সাময়িক নির্বাসিত হয়েছেন।