Pakistan is unable to complete stadium renovations: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে পাকিস্তানের পক্ষে স্টেডিয়াম সংস্কার করা 'একেবারে অসম্ভব'। এমন খবরই প্রকাশিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমে। ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানে হওয়ার কথা। হাতে বেশি সময় না থাকলেও স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ অনেকটাই বাকি। ফলে, রীতমতো উদ্বিগ্ন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিসিবির পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ স্টেডিয়ামগুলোর সংস্কার নির্ধারিত সময়ের আগে শেষ করা 'একেবারে অসম্ভব'। এই প্রতিবেদন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পাকিস্তানের প্রস্তুতি নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
রিপোর্টে বেরিয়েছে, 'অনেক কাজ বাকি। ফলে, নির্ধারিত সময়ের আগে সংস্কারের কাজ শেষ করা প্রায় অসম্ভব। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা প্রাণপণে চেষ্টা চালাচ্ছেন।' পিসিবি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের জন্য ৩টি জায়গা ঠিক করেছে। সেগুলো হল- করাচি, লাহোর এবং রাওয়ালপিন্ডি। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ওই সব স্টেডিয়ামে বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে পিসিবিকে।
এই স্টেডিয়ামগুলোয় অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচও হবে। যার মধ্যে রয়েছে ৮-১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে চার ম্যাচের ত্রিদেশীয় সিরিজ। যার প্রথম দুটি খেলা হবে লাহোরে। তারপর করাচিতে হবে ফাইনাল-সহ দুটি ম্যাচ। নির্মাণকাজ পর্যবেক্ষণকারী একটি সূত্র জানিয়েছে, দেখুন, 'স্টেডিয়ামগুলো ম্যাচ আয়োজনের জন্য তৈরি হয়ে যাবে। কিন্তু প্রশ্ন হল পিসিবি ত্রিদেশীয় সিরিজ এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য এই স্টেডিয়ামগুলোয় বিশ্বমানের ব্যবস্থাপনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই প্রতিশ্রুতি তারা রাখতে পারবে কি না, সেটাই দেখার বিষয়।
ওই স্টেডিয়ামগুলোর সংস্কারের দায়িত্বে থাকা বিলাল চৌহান প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং বিভিন্ন ছাড়পত্র পেতে বিলম্বের জন্য হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, 'বিভিন্ন জিনিস বাইরে থেকে আনতে হচ্ছে। তাতেও হাজার সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। আমরা সাধ্যমত চেষ্টা চালাচ্ছি। কিন্তু, কিছু লোক এসব দেখেও আমাদের নিন্দা করছে। এগুলো দেখলে কষ্ট হয়।' করাচিতে নতুন ভবনের জন্য ছাড়পত্রে কীভাবে বিলম্ব করা হয়েছে, বিলাল সে নিয়েও অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন- কোহলি দর্শনে হাজার হাজার ফ্যান, কোটলায় ধুন্ধুমার ভিড় রঞ্জিতেও
তিনটি স্টেডিয়ামে সংস্কারের জন্য প্রায় ১২০ কোটি পাকিস্তানি টাকা ব্যয় হয়েছে। পিসিবি সুযোগ-সুবিধাগুলো উপযুক্ত কি না, তা যাচাই করে নিচ্ছে। এজন্যও প্রচুর অর্থব্যয় হচ্ছে। তবে, টিকিট বিক্রি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। এসবের মধ্যে আবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে জটিলতা নতুন করে বেড়েছে। আইসিসির সিইও পদত্যাগ করে সেই অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। আইসিসির সিইও জিওফ অ্যালার্ডিস মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন। আইসিসি সূত্রে খবর, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পাকিস্তানের প্রস্তুতিতে ব্যর্থতার দায়িত্ব নিয়ে সম্ভবত তিনি পদত্যাগ করেছেন। সময়সীমা এগিয়ে এলেও কাজ শেষ না হওয়ায় পিসিবি শেষ পর্যন্ত কী করে, সেটাই এখন দেখার।