বিশ্বকাপে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলন! সেখানেই কিনা বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেন পাকিস্তান ক্যাপ্টেন সরফরাজ আহমেদ। সাংবাদিক সম্মেলনে খোদ সাংবাদিকই প্রশ্ন করে বসলেন, এই বছরের বিশ্বকাপ যদি দেশে নিতে যেতে পারেন সরফরাজরা, তাহলে কি তিনি ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন? অপ্রত্যাশিত প্রশ্নে কিছুটা হচকচিয়েই গেলেন তিনি।
আসলে ইমরান খান বর্তমানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ১৯৯২ সালে বিশ্বকাপে দেশকে চ্যাম্পিয়ন করার পরেই গোটা দেশের হিরো বনে যান তিনি! তারপর রাজনীতিতে নিজস্ব দল তৈরি করে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত, লড়াইয়ের মাধ্যমে তিনি এখন প্রধানমন্ত্রী-র চেয়ারে আসীন। সেই কারণে বিশ্বকাপ-চ্যাম্পিয়ন হওয়ার তুলনা টেনে সরফরাজকে প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনেই এমন প্রশ্ন করা হল।
আরও পড়ুন
এমন প্রশ্ন শুনে যথারীতি চোখে মুখে অস্বস্তি পাকিস্তানি কাপ্তানের! আসলে কী-ই বা বলবেন তিনি। কিছু বললেই তো অন্যরকম ইঙ্গিত বহন করতে পারে। তাই যথাসম্ভব বিতর্ক এড়িয়ে সরফরাজ জানালেন, "আমরা এবার অবশ্যই বিশ্বকাপ জিততে ঝাঁপিয়ে পড়ব। কিন্তু ভবিষ্যতে আমি কী করব, কী হব সেটি ভবিষ্যৎই বলে দেবে।"
পরিসংখ্যান বলছে, ইংল্যান্ডের মাটি বরাবরই পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের কাছে সৌভাগ্য বয়ে এনেছে। ১৯৮৭ সালে ইংল্যান্ডেই ইমরান খানের নেতৃত্বে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল পাকিস্তান। ১৯৯২ সালে জাভেদ মিঁয়াদাদের নেতৃত্বেই দুরন্ত এক সিরিজ উপহার দিয়েছিল সমর্থকদের। ১৯৯৯-এর বিশ্বকাপে তো ওয়াসিম আক্রমের নেতৃত্বে ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছেছিল পাকিস্তান। যদি ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার দুর্ধর্ষ বোলিং সামলে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। সাম্প্রতিককালের জন্য হাতে গরমে রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি! সেখানে পড়শি দেশ ভারতকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন তাঁরা।
সরফরাজ তো সাফ বলেই দিয়েছেন, "অতীতে ইংল্যান্ডের মাটিতে পাকিস্তানের রেকর্ড দারুণ। এবারও আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। ইনশাল্লাহ, এবারের বিশ্বকাপে আমরা ভালো করব।"
এবারেও বিশ্বকাপে কোহলিদের সঙ্গেই ফেভারিটের তকমা দেওয়া হচ্ছে পাকিস্তানকে। ট্র্যাডিশন বজায় রেখে পাকিস্তান ইংল্যান্ডে কেমন খেলে, সেটাই আপাতত সকলের নজরে থাকবে।