দীর্ঘ ৫ বছর স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িয়ে নির্বাসিত ছিলেন। তারপরে প্রত্যাবর্তনেই চমকে দিয়েছিলেন। সেই মহম্মদ আমিরই এবার টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে ফেললেন। মাত্র ২৭ বছর বয়সেই আলবিদা জানালেন দীর্ঘতম ফর্ম্যাটের ক্রিকেটকে।
বিশ্বকাপেই ১৭ উইকেট শিকার করেছিলেন। তবে টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ালেও টি টোয়েন্টি এবং একদিনের ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাবেন। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষেক ঘটে আমিরের। তারপরে ৩৬টি ম্যাচে দেশের হয়ে অংশ নিয়ে ১১৯টি উইকেটও তুলে নিয়েছিলেন। ২০১০ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে ইচ্ছাকৃত নো বল করেছিলেন। স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরে পাঁচ বছর নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে।
আরও পড়ুন আইপিএলে নিলাম বাতিল? বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল আদালত
প্রীতিকে শারীরিক নিগ্রহ করেছিলেন! তাঁকেই আর দেখা যাবে না আইপিএলে
শুক্রবার পাকিস্তানের তারকা পেসার জানিয়ে দেন, “পাকিস্তানের জার্সিতে টেস্টে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে অংশ নেওয়াটা সবসময়েই আমার কাছে সম্মানের ছিল। যাইহোক সাদা বলের ক্রিকেটে বেশি ফোকাস করার জন্য টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি।”
যাইহোক, আমিরের নজরে এখন আগামী বছরের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই টুর্নামেন্টের জন্য আমির জানিয়ে রাখছেন, “পাকিস্তানের হয়ে সবসময়েই খেলতে চেয়েছি। দলের আসন্ন ক্রিকেটীয় চ্যালেঞ্জ এমনকি টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত রাখছি।”
@iamamirofficial Mohammad Amir announces retirement from Test cricket.
Amir explains why,:
— Qayna Sports Management (@qaynasports) July 26, 2019
ক্রিকেটে মাঠে প্রত্যাবর্তনের পরে ২০১৬ থেকে ২২টি টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন আমির। তুলে নিয়েছিলেন ৬৮টি উইকেট। জামাইকাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কেরিয়ারের সেরা ৪৪-৬ পারফরম্যান্স মেলে ধরেছিলেন। তিনিই এবার সরে দাঁড়ালেন টেস্ট থেকে। পাকিস্তানের পক্ষে আমিরের অবসর নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা।
আমির যদিও বলছেন, সচেতনভাবেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। “এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া মোটেই সহজ নয়। তবে খুব তাড়াতাড়ি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হতে চলেছে। বেশ কিছু প্রতিভাবান পেসার উঠে আসছে। নির্বাচকদের পক্ষে কাজ যাতে সহজ হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এই সিদ্ধান্ত।” অবসরের পরে মহম্মদ আমিরের উচ্চ-প্রশংসা শোনা গিয়েছে কিংবদন্তি ওয়াসিম আক্রমের গলায়।