New Update
ICC World Cup 2019, Pakistan Vs South Africa Highlights: দক্ষিণ আফ্রিকার কার্যত বিদায়ঘণ্টা বেজে গেল বিশ্বকাপে
ICC World Cup 2019, pakistan Vs south africa 2019 Highlights:পাকিস্তানের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে কার্যত বিদায়ঘণ্টা বেজে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার। সরফরাজরা জিতলেন ৪৯ রানে।
Advertisment
খেলা শেষ! পাকিস্তানের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে কার্যত বিদায়ঘণ্টা বেজে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার। লর্ডসে নামার আগে দুই টিমের কাছেই এটা ডু-অর-ডাই ম্যাচ ছিল। পাকিস্তানের ৩০৮ রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৫৯ রানে গুটিয়ে গেল।
ধারবাহিক ভাবে উইকেট পতন ছাড়া আর কিছুই নেই এই ম্য়াচে। পাকিস্তানের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। সাত নম্বর উইকেটটাও চলে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার। এখন ৩০ বলে ৮৪ রান প্রয়োজন তাদের। ৪৫ ওভার শেষে সাত উইকেট হারিয়ে ২২৫ রান তুলেছে প্রোটিয়া। শেষ উইকেটটি নিয়েছেন ওয়াহাব রিয়াজ। ক্রিস মরিসকে ক্লিন বোল্ড করে দিয়েছেন তিনি। লর্ডস এই ম্যাচের যবনিকা পতনের অপেক্ষায়।
দক্ষিণ আফ্রিকা হারাল হাফ ডজন উইকেট। এবার শাহিন আফ্রিদি মিলারের উইকেট ছিটকে দিলেন। বোঝাই যাচ্ছে কার্যত বিশ্বকাপ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিদায়ঘণ্টা বাজতে চলেছে। কোনও অঘটন না-ঘটলে শেষ হাসি হাসবে সরফরাজের পাকিস্তান।
আবার শাহদাব, আজ পাকিস্তানের স্টার তিনি। তুলে নিলেন ডুসেনকে। মহম্মদ হাফিজের হাতে ক্যাচ আউট হয়ে গেলেন তিনি। বোঝাই যাচ্ছে যত সময় গড়াচ্ছে প্রোটিয়াদের জন্য কাজটা আরও কঠিন হয়ে উঠছে। ৪০ ওভারের খেলা শেষ। দক্ষিণ আফ্রিকা পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান তুলল। ৬০ বলে প্রয়োজন ১২০ রান প্রয়োজন তাদের।
ফাফকে ফেরালেন মহম্মদ আমির। এই টুর্নামেন্টে কী অসাধারণ ফর্মেই না আছেন অভিজ্ঞ পাক পেসার! ৭৯ বলে ৬৩ রান করে সরফরাজের হাতে ক্যাচ আউট হয়ে গেলেন তিনি। এবার ক্রিজে এলেন ডেভি়ড মিলার। এরপর আর প্রোটিয়া লাইনআপে সেঅর্থে আর কোনও ব্যাটসম্যান রইল না। যাঁরা আসবেন তাঁরা ব্যাটটা করতে জানেন শুধু। এটাই বলা যায়। এই ম্যাচে নিঃসন্দেহে ড্রাইভারের সিটে পাকিস্তান। ৩২ ওভারের খেলা হয়ে গেল। প্রোটিয়া চার উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান তুলল।
মারক্রমের উইকেটটা ছিটকে দিলেন শাহদাব। ২৪ ওভারে ১০৩ রান তুলে তিন উইকেট হারিয়ে ফেলল দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তান এবার বল হাতেও কামাল দেখাচ্ছে। সরফরাজ চাইছেন স্পিনার খেলিয়ে প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইন আপ গুঁড়িয়ে দিতে। দেখা যাক তিনি কতদূর সফল হতে পারেন। ফাফ আর ভ্য়ান ডার ডুসেন এখন ক্রিজে।
ডিপ মিড উইকেটে স্লগ সুইপ মারতে গিয়েছিলেন ডি কক। ইমা-উল-হক প্রস্তত ছিলেন। ডাইভ দিয়ে দুরন্ত লো ক্যাচটা তালুবন্দি করেন তিনি। অনফিল্ড আম্পায়ার যদিও তৃতীয় আম্পায়ের পরমার্শেই আউটের সিদ্ধান্ত নেন। অবশেষে পাকিস্তান ফাফ- ডি ককের জুটিটা ভাঙতে সক্ষম হলো। ২২ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকা ২ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান তুলল। এখন মারক্রম সঙ্গ দেবেন ফাফকে।
ফাফ আর ডি কক কিন্তু দুর্দান্ত ছন্দে আছেন। এক উইকেট হারিয়ে ১৪ ওভারে ৫৯ রান তুলেছেন তাঁরা। পেসারের পাশাপাশি স্পিনারদের খেলিয়ে উইকেট তুলে নেওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সরফরাজ। কিন্তু এই দুই ব্যাটসম্যান উইকেট না-দেওয়ার পণ করেই নেমেছেন আজ।
শুরুেতেই আমলা ফিরে যাওয়ায় কিছুটা চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু ফাফ এসে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিয়েছেন। ডি কককে নিয়ে এগিয়ে চলেছেন তিনি। আট ওভারের খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা এক উইকেট হারিয়ে ৩১ রান তুলেছে। উইকেটের খোঁজে পাক বোলাররা।
এলবিডব্লিউ! ৩০৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেল দক্ষিণ আফ্রিকা। মহম্মদ আমির প্রোটিয়া ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের বল করতে এসেই ফিরিয়ে দিলেন হাশিম আমলাকে। কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন তিনি। মাত্র চার রানে প্রোটিয়া হারাল প্রথম উইকেট। এবার ফাফ দুপ্লেসি এলেন ক্রিজে।
নির্ধারিত ৫০ ওভারে পাকিস্তান ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০৮ তুলল। শেষ ওভারে জোড়া শিকার করলেন লুঙ্গি এনগিডি। প্রথম বলে ওয়াহাব রিয়াজকে ফেরানোর পরে পঞ্চম বলে তাঁর শিকার হ্যারিস সোহেল। শোয়েব মালিকের পরিবর্তে দলে ঢুকেছিলেন। বিশ্বকাপ অভিষেকেই ঝকঝকে ইনিংস উপহার দিলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকা এই রান চেজ করতে পারে কিনা, নাকি পাকিস্তানি বোলাররা প্রোটিয়াজদের আগেই থামিয়ে দিতে সমর্থ হয় সেটাই দেখার।
টুর্নামেন্টে সুযোগ পাচ্ছিলেন না। তবে প্রথম সুযোগেই বাজিনাত হ্যারিস সোহেলের। ফিফটি করে দলকে টানছেন তিনি ( ৬৫ নট আউট)। ৪৪ ওভারে পাকিস্তান ২৫৮। ক্রিজে নামলেন ইমাদ ওয়াসিম (৫)।
গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আউট বাবর আজম। পাকিস্তানকে চতুর্থ ধাক্কা দিলেন লুঙ্গি এনগিডি। ৮০ বলে ৬৯ রান করে আউট তিনি। বাবর আজম-হ্যারিস সোহেলের জুটিতে ৮১ রান যুক্ত হয়ে গিয়েছিল। এমন সময়েই দলকে ব্রেক থ্রু দিলেন লুঙ্গি।
একসময় পরপর উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। সেখান থেকে পাকিস্তানকে টানছেন হ্যারিস সোহেল ও বাবর আজম। বাবর আজমের হাফসেঞ্চুরি আগেই পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তিনি ৬৮ রানে ব্যাট করছেন। শোয়েব মালিকের পরিবর্তে ঢুকে হ্য়ারিস সোহেল ২৬ বলে ৩৮ রানে ব্যাটিং করছেন। চতুর্থ উইকেটে বাবর-হ্যারিস সোহেলের জুটিতে ৭৩ রান যুক্ত হয়েছে।৪০ ওভার শেষে পাকিস্তান ২১৭।
বাবর-মহম্মদ হাফিজ জুটিতে লড়ছিল পাকিস্তান। তাহিরের বিষাক্ত ছোবলে পরপর দুই পাক ওপেনার আউট হওয়ার পর পাকিস্তানের চতুর্থ উইকেটে বড় ভরসা জোগাচ্ছিলেন বাবর আজম (৪১ বলে ৩১) ও মহম্মদ হাফিজ (৩৩ বলে ২০)। তবে মারক্রাম এসে লেগ বিফোর করলেন মহম্মদ হাফিজকে। পরপর উইকেট হারিয়ে কিছুটা হলেও চাপে পাকিস্তান। স্কোরবোর্ডে বড় রান তুলতে হলে ইনিংস গড়তে হবে তাদের। ৩০ ওভার শেষে পাকিস্তান ১৪২।
জোড়া উইকেট শিকারের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ শিকারী হয়ে গেলেন তাহির। এতদিন বিশ্বকাপে সবথেকে বেশি উইকেট সংগ্রহের মালিক ছিলেন অ্যালান ডোনাল্ড (৩৮)। সেই সংখ্যাকে ছাড়িয়ে তাহিরের আপাতত উইকেট সংখ্যা ৩৯।
৪৪ রানে ফখর জামানকে ফিরিয়েছিলেন ইমরান তাহির। এবার ইমরানের হাতে শিকার অন্য ওপেনার ইমাম উল হক। অফ স্ট্যাম্পের বাইরে ফুল লেংথে বল করেছিলেন তাহির। ইমামের ড্রাইভ করা বল এক হাতে ঈগলের মতো ছোঁ মেরে দুরন্ত ভঙ্গিতে তুলে নেন তিনি। তাহির একার হাতে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিচ্ছেন। পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা ম্যাচ ধরে নিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাহিরের জোড়া ধাক্কায় ফের নড়বড়ে পাকিস্তান।
চার পেসার পারেননি। ক্যাপ্টেন ডুপ্লেসিস ডেকে নিয়েছিলেন দলের অভিজ্ঞতম বোলারকে। এসেই পাকিস্তানি ইনিংসে ভাঙন ধরালেন ইমরান তাহির। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই ফখর জামানকে প্যাভিলিয়নে ফেরালেন তিনি। হাফসেঞ্চুরি থেকে ৬ রান দূরে আউট হলেন ফখর জামান। ১৫ ওভার শেষে পাকিস্তান ১ উইকেট হারিয়ে ৮১। ক্রিজের অন্যপ্রান্তে ব্যাটিং করছেন ইমাম উল হক (৩৫)। এলেন বাবর আজম।
ফখর জামানকে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠানোর দারুণ সুযোগ পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিস মরিসের বলে ওভার বাউন্ডারি হাকাতে গিয়েছিলেন পাক ওপেনার। সেই ক্যাচই তালুবন্দি করেন ইমরান তাহির। দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন ভেবে রীতিমতো চর্চাও শুরু হয়ে যায়। তবে টিভি রিপ্লে-তে স্পষ্ট দেখা যায় বল তালুবন্দি হওয়ার আগে মাটিতে স্পর্শ করে। পাকিস্তান ১২ ওভার শেষে ৬৭। ফখর জমান (৩৩) এবং ইমাম উ হক (৩২) রানে ব্যাট করছেন।
পাকিস্তান ফিফটি করে ফেলেছিল আগেই। এবার দুই ওপেনারই ব্য়ক্তিগত অর্ধশতরানের দিকে ধীরে ধাীরে এগোচ্ছেন। প্রোটিয়াজ পেসাররা কোনওভাবেই বিপাকে ফেলতে পারছেন না পাকিস্তানকে। এনগিডিকিকে সরিয়ে ক্রিস মরিসকে আনা হল। তবে তিনিও তথৈবচ। ফখর জামান ও ইমাম উল হক নির্দ্ধিধায় ব্য়াটিং করে চলেছেন। ১০ ওভার শেষে প্রায় ছয়ের কাছাকাছি রান রেট রেখে স্কোরবোর্ডে ৫৮ তুলে ফেলেছে পাকিস্তান।
ওপেনিংয়ে বেশ মেজাজে ব্যাটিং করছেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার ফখর জামান (১৪ বলে ১৭) ও ইমাম উল হক (১৬ বলে ১৮)। ৫ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে দুই পাক ওপেনার ৩৫ রান তুলে ফেলেছেন। রাবাদা বা এনগিডিকে মোটেই স্বচ্ছন্দ লাগছে না।
ভারতের বিপক্ষে হারের একাদশ থেকে দুটো পরিবর্তন ঘটিয়ে খেলতে নামছে পাকিস্তান। শাহিন আফ্রিদি এবং হ্যারিস সোহেলকে নেওয়া হয়েছে প্রথম একাদশ। বাদ গেলেন হাসান আলি এবং শোয়েব মালিক। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা অপরিবর্তিত একাদশ নামাচ্ছে।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করবে পাকিস্তান। ভারতের বিরুদ্ধে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সরফরাজ আহমেদ। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে তুমুল সমালোচিত হতে হয়েছিল তাঁকে। এদিনের ব্যাটিং করার সিদ্ধান্তে কি সেই সমালোচনার প্রভাব রয়েছে?