Arshad Nadeem meets Muhammed Harris Dhar: অলিম্পিকে জ্যাভলিনে সোনাজয়ী আর্শাদ নাদিমের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন লস্কর-ই-তইবার জঙ্গি হারিস দার। পাকিস্তানের এই ঘটনায় রীতিমতো শিহরণ তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মহলে। এই আর্শাদকেই নীরজ চোপড়ার মা না-জেনে সাংবাদিকদের কাছে নিজের ছেলে বলে সম্প্রীতি দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। আর্শাদ পাকিস্তানের খেলোয়াড়। টোকিও অলিম্পিকে সোনা জয়ের পর নীরজ চোপড়া দেশের ক্রীড়াজগতে অনন্য নক্ষত্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি সেনাবাহিনীতেও অফিসার পদে কাজ করেন। সেই নীরজকে টপকে এবারের অলিম্পিকে প্যারিসে জ্যাভলিনে সোনা জিতেছেন আর্শাদ। আর, নীরজ পেয়েছেন রুপো। আর্শাদ সোনা জেতায় পাকিস্তান ৪০ বছর পর অলিম্পিকে সোনা জিতল।
Advertisment
জাতীয় নায়কের সম্মান আর্শাদ সোনা জেতার পর পাকিস্তানে জাতীয় হিরোর সম্মান পাচ্ছেন। নেতা, অভিনেতা থেকে নামী ব্যবসায়ী, সবাই দেখা করতে আর্শাদের বাড়িতে যাচ্ছেন। তাঁকে উপহার দিচ্ছেন। সেভাবেই আর্শাদের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন ভারতের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী তথা জঙ্গিনেতা লস্করের হারিস দার। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সাক্ষাতের ভিডিও ভাইরাল হতে দেরি হয়নি। এরপরই আর্শাদের ভারতীয় অনুরাগীরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন। তাঁরা নীরজ চোপড়াকে পরামর্শ দিয়েছেন, আর্শাদের সঙ্গে মেলামেশার ব্যাপারে সাবধানতা এবং সতর্কতা বজায় রাখতে।
Pictures of Pakistan’s Olympic Gold medalist Arshad Nadeem with Lashkar-e-taiba terr0rist Muhammad Harris Dar go viral.Dar tells Nadeem in viral video that his achievement has made the entire Muslim Ummah proud.Muhammad Harris Dar is the Joint Secretary of Milli Muslim League pic.twitter.com/HSmZ5R3O4P
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, আর্শাদের অত্যন্ত পাশে বসে তাঁর সঙ্গে অতি পরিচিতর মত কথা বলছেন লস্করের ওই জঙ্গি নেতা। ভারতে একের পর এক জঙ্গি হামলায় এই হারিস দার জড়িত বলেই নিরাপত্তাবাহিনী বারবার অভিযোগ করেছে। তার সঙ্গেই প্যারিস অলিম্পিকে সোনাজয়ী আর্শাদের যে এত ভালো সম্পর্ক, ভাবতেই পারেননি আর্শাদের ভারতীয় অনুরাগীরা।
কে এই হারিস দার দার মিলি মুসলিম লিগ পার্টির যুগ্ম সম্পাদক। এই পার্টি ২০১৭ সালে তৈরি করেছিল জঙ্গিনেতা হাফিজ সইদ। ২০১৮ সালে এই পার্টির প্রতিনিধি হিসেবে হাফিজ নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। সেই বছরই আমেরিকা হাফিজ-সহ তার দলের সাত নেতাকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছিল। সেই তালিকায় ছিল হারিস দারের নামও। অভিযোগ ছিল, এই পার্টির আড়ালে ওই সাত জন জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার হয়ে গোপনে জঙ্গিপনা চালায়।