Afghan origin to play for New Zealand: জন্ম পাকিস্তানে। বেড়ে ওঠা এমন মা-বাবার কাছে, যাঁরা আবার শাহরুখ খানের অন্ধ ভক্ত। এই ক্রিকেটার এবার স্থান করে নিতে চলেছেন ইতিহাসের পাতায়।
রহমান যখন শিশু, তখনই তাঁর বাবা-মা গোছানো জীবনের খোঁজে আফগানিস্তান থেকে নিউজিল্যান্ডে চলে আসেন। তারপর অকল্যান্ডেই বেড়ে ওঠা। ছোট থেকেই ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা। আর, বাবা-মায়ের জন্য বলিউডের প্রেমে জড়ানো। তিন ভাইবোনের মধ্যে রহমান বড়।
দক্ষিণ আফ্রিকার ডবসনভিল থেকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বললেন, 'হিন্দি সিনেমা নিয়ে এখনও পরিবারের মধ্যে লড়াই চলে। আমার বাবা খুব বলিউডের সিনেমা দেখেন। তিনি কোনও সিনেমার চ্যানেল চালালেই, আমি ভীষণ বিরক্ত হই। উনি তাই সবসময় চেষ্টা করেন, ওই সিনেমার গল্পটা বলে আমাকে ঠান্ডা করতে। আমিও খুব চেষ্টা করি। কষ্ট করে হিন্দি বুঝতে চাই। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত বিরক্ত হয়ে যাই। আমি বাবাকে বলি অনুবাদ করে দাও। কিন্তু, বাবা বলে যে, অনুবাদ করলে আসল সিনেমার আসল মজাটাই হারিয়ে যাবে। এই কিছুদিন আগে আমার বাবা-মা শাহরুখ খানের ডাঙ্কি দেখতে গেছিলেন। বাবার তো সিনেমাটা খুব ভালো লেগেছে। ফোনে আমাকে দুই ঘণ্টা ধরে গল্পটা শোনালেন। তিনি শাহরুখ ভক্ত। শাহরুখের হাঁড়ির খবর রাখেন। আমিও ওঁর থেকে শেখার চেষ্টা করি।'
রহমানকে হয়তো হিন্দি শিখতে অনেক চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু, ক্রিকেটে ১৮ বছর বয়সি এই তরুণের দ্রুত উন্নতি হয়েছে। তিনি ১১ বছর বয়সে খেলা শুরু করেছিলেন। ফাস্ট বোলার হতে চেয়েছিলেন। তাঁর বাবা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। বাড়ির করিডোরেই ছেলের সঙ্গে ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। রহমান বলেন, 'আমি প্রথমে পেস বল করতাম। একদিন আমি আর বাবা খেলছিলাম। আমি কয়েকটি লেগস্পিন করি। আমার বাবা আমার মধ্যে শেন ওয়ার্নের মত কাউকে খুঁজে পান। তিনি আমার কোচের সঙ্গে কথা বলেন। কোচও পরদিন আমার লেগ-স্পিন দেখে বলেন, ভালো কিছু হতে পারে। তারপর থেকে আমি লেগ-স্পিনই করছি।'
আরও পড়ুন- সিরিজ জিতেও দুই তারকা বাদ তৃতীয় ম্যাচে! Jio না Hotstar কোথায় দেখবেন শেষ টি২০
শুধু লেগ-স্পিন শেখানোই নয়। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার হেকমতুল্লাহ তাঁর ছেলেকে বিশ্বখ্যাত লেগস্পিনার শ্যেন ওয়ার্নের সঙ্গেও পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। আর, তাঁর বড় ছেলে রহমানের ওপর বিরাট প্রভাব ফেলেছেন সহকর্মী আফগান লেগস্পিনার রশিদ খান। আফগান বংশোদ্ভূত রহমান হেকমত এবার খেলবেন নিউজিল্যান্ডের হয়ে। আর, তাতেই স্থান করে নিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়। তিনিই প্রথম আফগান বংশোদ্ভূত খেলোয়াড়, যিনি নিউজিল্যান্ডের হয়ে খেলবেন।