New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/06/Milkha-Singh_copy_1200x676_1.jpg)
৯১ বছর বয়সেও মিলখা সিং চন্ডীগড় গলফ ক্লাবে নিয়মিত যান। তবে কোভিডের প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ২-৩ মাস ঘরবন্দিই ছিলেন।
হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়ায় রটে গিয়েছিল কিংবদন্তি মিলখা সিং করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হার মেনেছেন। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তবে পোস্ট গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল এডুকেশন এন্ড রিসার্চ (PGIMER) এর অধিকর্তা জগৎ রাম জানিয়ে দিলেন, আপাতত ভালোই রয়েছেন কিংবদন্তি। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন।
বর্তমানে চন্ডীগড়ের PGIMER- এ চিকিৎসাধীন রয়েছেন মিলখা সিং। করোনার বিরুদ্ধে বেশ কিছুদিন লড়ছেন মিলখা। তিন চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাঁকে রাখা হয়েছে হাসপাতালে।
আরো পড়ুন: নতুন জীবন শুরু করছেন নাইটদের কার্তিক! শুভেচ্ছা জানালেন গাভাসকার
তবে এর মধ্যেই এক ভিডিওয় দাবি করা হয়েছিল, করোনায় মৃত্যু ঘটেছে মিলখার। সেই দাবি নস্যাৎ করে দেন হাসপাতালের অধিকর্তা। তিনি নিজে একটি ভিডিও শেয়ার করেন। যেখানে তিনি জানান, জুনের ৩ তারিখে মিলখাকে ভর্তি করা হয়। স্বাস্থ্যের উন্নতিও ঘটছে।
Please don't run false news and create rumors about the legendary athlete and pride of India Milkha Singh Ji. He is stable and let's pray for his fast recovery🙏
— Kiren Rijiju (@KirenRijiju) June 5, 2021
গত মাসেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন মিলখা সিং। তারপর মোহালির এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। ছয় দিন সেই হাসপাতালে থাকার পর পরিবারের অনুরোধে ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। তারপর জুনের ৩ তারিখ পুনরায় তাঁকে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে মিলখার স্ত্রী-ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোহালির হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন।
জানা গিয়েছে, মিলখা বাড়ির পরিচারিকার মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছিলেন। পারিবারিক অসুস্থতার খবর পেয়ে মিলখার পুত্র জীব মিলখা সিং দুবাই থেকে দেশে ফেরেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী চিকিৎসক কন্যা মোনা মিলখা সিং-ও কিছুদিন আগে চন্ডীগড়ে ফিরে এসেছেন।
কিংবদন্তি এই স্প্রিন্টার এশিয়ান গেমসে চারবারের সোনা জয়ী। ১৯৫৮ সালে কমনওয়েলথ গেমসেও সোনা জেতেন তিনি। তবে তাঁর সেরা পারফরম্যান্স ১৯৬০-এর রোম অলিম্পিকে চতুর্থ স্থান অর্জন। দেশের হয়ে তাঁর সময় ই ছিল দীর্ঘদিন ধরে সেরা। শেষ পর্যন্ত ১৯৯৮ সালে পরমজিৎ সিং জাতীয় সেই রেকর্ড ভাঙেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন