ট্র্যাফিক জ্যাম! তা-ও আবার এভারেস্টে। সেই কারণেই বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে আহোরণ করতে পারলেন না বাংলার পিয়ালি বসাক। মাত্র ৫০০ মিটার দূর থেকেই ফিরে আসতে হয়েছে তাঁকে। অন্তত, এমনই খবর প্রথমসারির এক সংবাদমাধ্যমের। বুধবার রাতে ফের একবার এভারেস্টের শৃঙ্গের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন তিনি।
জানা গিয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বুধবার নয়, মঙ্গলবারেই এভারেস্টে বিজয় পতাকা ওড়াতে পারতেন বাঙালি পর্বতারোহী। আবহাওয়া-ও ছিল ঠিকঠাক। তবে এভারেস্টের থেকেও পিয়ালির সামনে কঠিন বাধা হয়ে দাঁড়ায় ট্র্যাফিক জ্যাম। কী তা? বলা হচ্ছে, পিয়ালি এভারেস্টের প্রায় সামনে গিয়ে দেখতে পান কমপক্ষে আড়াইশো জন এভারেস্টে ওঠার জন্য লাইন দিয়ে দাঁড়ানো। তারপরেই অভিযান সাময়িক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
আরও পড়ুন
এবারেই এভারেস্টে রেকর্ড সংখ্যক আরোহী-র সমাগম ঘটেছে। পাঁচশো-রও বেশি মানুষ এভারেস্টের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। এই বছরে পর্বতারোহনের উইন্ডো মাত্র ৪ দিনের। মাঝে খারাপ আবহাওয়ার কারণে সাময়িক বিপত্তির সূত্রপাত ঘটেছিল। তবে কুড়ি তারিখ থেকে নতুন উইন্ডোর খোলে। ওই দিনেই প্রথম কোনও দল চলতি মরশুমে এভারেস্টে পা রাখে। তারপরেই পিয়ালিদের দল ছিল। ক্যাম্প থ্রি পর্যন্ত-ও পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁরা।
বুধবার ভোরেই অভিযান শুরু করেছিল পিয়ালিদের দল। তবে অনিবার্য কারণে তা আর পারেননি তিনি। তবে বুধবার রাতে ফের একবার অভিযান শুরু করবেন তিনি। সঙ্গী থাকছেন ক্লাইম্বিং গাইড পাসাং শেরপা। ২৩ তারিখেই সম্ভবত বাঙালি মেয়ে বাংলার নাম উজ্জ্বল করবেন।
গত বছর অক্টোবরে প্রথম অসামরিক মহিলা পর্বাতরোহী হিসেবে বিশ্বের অষ্টম উচ্চতম শৃঙ্গ মানাসলু-র চূড়োয় পা রেখেছিলেন। পাহাড়ে চড়ার শখ সেই ছোট থেকে। একটু একটু করে স্বপ্ন দেখা শুরু। হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট থেকে ২০০৮ সালে পর্বতারোহণে বেসিক কোর্স। তারপর ২০১০ এ অ্যাডভান্স কোর্স করা। ত্রিশ বছরের পিয়ালির অভিজ্ঞতার ঝুলিতে রয়েছে মুলকিলা-১০, মাউন্ট তিঞ্চেংকাং এর মতো শৃঙ্গ আরোহণ। রাজ্য সরকারের ডব্লিউবিএমএএসএফ -এর পক্ষ থেকে মহিলাদের দল নিয়ে আয়জিত অভিযানেরও অংশ ছিলেন পিয়ালি। ২০১১ সালে ক্লাউড বার্স্টের জন্য সফল হয়নি ভাগীরথী-২ অভিযান।