Advertisment

'পুলিশ, ডাক্তারদের ওপর পাথর ছোড়া হচ্ছে, দেখে দুঃখ হয়', বলছেন হিমা, বাইচুং

দেশের প্রায় ৪০ জন ক্রীড়াতারকা শুক্রবার মোদীর সঙ্গে ভিডিও কল-এ মিলিত হন। তৎপরবর্তী একটি ভিডিও শেয়ার করেন হিমা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
hima das coronavirus

হিমা দাস। ফাইল ছবি

দেশে COVID-19 বিশ্বব্যাপী মহামারী বা 'প্যানডেমিক' জনিত লকডাউন চলাকালীন পুলিশ, চিকিৎসক, এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে বাধা দেওয়ার ও তাঁদের ওপর আক্রমণের ঘটনায় শুক্রবার দুঃখ প্রকাশ করেছেন ভারতের তারকা স্প্রিন্টার হিমা দাস এবং প্রাক্তন ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়া।

Advertisment

আসাম পুলিশের ডিএসপি হিমা বলেন, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে 'ভিডিও কল' চলাকালীন এ বিষয়ে তাঁর মতামত জানান তিনি। ওদিকে ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বাইচুং প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান যেন মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরে যারা একদল স্বাস্থ্যকর্মীকে আক্রমণ করেছিল, তাদের যেন শাস্তি নিশ্চিত করা হয়। এছাড়াও বাইচুং তাঁর রাজ্য সিকিমে COVID-19 মহামারীর মোকাবিলায় পর্যাপ্ত 'টেস্টিং কিট'-এর অভাবের দিকেও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

দেশের প্রায় ৪০ জন ক্রীড়াতারকা শুক্রবার মোদীর সঙ্গে ভিডিও কল-এ মিলিত হন। তৎপরবর্তী একটি ভিডিও শেয়ার করেন হিমা, যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সরকার করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা আমাদের জানান প্রধানমন্ত্রী। আমরাও তাঁকে জানাই আমরা লকডাউন চলাকালীন কী করছি, কেমনভাবে ঘরের ভেতরে থেকে লকডাউন পালন করছি।"

publive-image ইন্দোরের ঘটনায় অপরাধীদের কড়া শাস্তির দাবি করেছেন বাইচুং ভুটিয়া

আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কের জেরে ভারতের নানা জায়গায় আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা

এরপর হিমা বলেন, "প্রধানমন্ত্রীকে আরও একটি কথা বলি আমি: পুলিশকর্মী এবং ডাক্তারদের ওপর পাথর ছোড়ার ঘটনায় আমি দুঃখিত। এরা লকডাউনের নিয়ম মানছে না।" তাঁর ইশারা ইন্দোর এবং উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের ঘটনার দিকে, যার ফলে আলোড়ন পড়ে গেছে সারা দেশে, উঠেছে নিন্দার ঝড়।

বুধবার ইন্দোরের তাতপট্টি বাখাল এলাকায় স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঁচ-সদস্যের একটি দলের ওপর পাথর ছুড়ে হামলা চালায় স্থানীয় বাসিন্দারা। পাথরের আঘাতে জখম হন দুই মহিলা চিকিৎসক। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় সারা দেশে।

তাঁর টুইটার পেজে একটি চিঠিতে বাইচুং লেখেন, "আমি @narendramodi-কে অনুরোধ করব, ইন্দোরে যে হামলাকারীরা COVID-19 লড়াইয়ের অগ্রভাগে থাকা ডাক্তারদের আঘাত করে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদেক্ষেপ নেওয়া হোক।"

বৃহস্পতিবার ইন্দোরে হিংসার ঘটনায় সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের মধ্যে চারজনের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে মামলা দায়ের করে জেলা প্রশাসন।

এশিয়ান গেমস এবং ২০১৮ সালে বিশ্ব জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদকজয়ী হিমা সকলকে বার্তা দেন ততদিন বাড়িতে থাকার, যতদিন না করোনাভাইরাস সম্পূর্ণ নির্মূল হয়ে যাচ্ছে। "আমি বলেছি যে ২১ দিনের লকডাউন শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও করোনাভাইরাস যতক্ষণ না সম্পূর্ণ নির্মূল হচ্ছে, ততক্ষণ লকডাউনের নিয়ম লাগু থাকা উচিত। বাড়ির বাইরে যাওয়া উচিত নয়, এবং সামাজিক দূরত্ব তখনও বজায় রাখা উচিত।"

অন্যদিকে বাইচুং বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দেওয়া এবং তাঁদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করা অত্যাবশ্যক, যেহেতু সংক্রমণের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি তাঁদেরই। তাঁর কথায়, "স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষভাবে যত্ন নেওয়া উচিত। তাঁদের যথোচিত পিপিই (PPE বা personal protective equipment) এবং N95 মুখোশ দেওয়া উচিত সারা দেশ জুড়ে।"

Advertisment