/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/09/wriddhiman-saha.jpg)
Wriddhiman Saha: ঋদ্ধিমান সাহা।(ফাইল ছবি)
Prabhtej Singh Batia's family connection with cricket: ঋদ্ধিমান সাহার বিচার করেছিলেন। সেই তাঁকেই ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডে দেওয়া হল বড় পদ। কয়েক দশক ধরে তাঁর পরিবারের পেশা মদ বিক্রি। সেই প্রভতেজ সিং ভাটিয়া হলেন এবার বিসিসিআইয়ের নতুন কোষাধ্যক্ষ। অসমের প্রাক্তন ক্রিকেটার দেবজিৎ সইকিয়া সম্প্রতি জয় শাহর জায়গায় বিসিসিআইয়ের সচিব হওয়ার পরই রদবদল ঘটল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষস্তরে। জয় শাহ বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)-এর দায়িত্বে। বিসিসিআই সচিব পদে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ বাকি ছিল। সেই অস্থায়ী মেয়াদের জন্যই বিসিসিআইয়ে সচিবের দায়িত্ব নিয়েছেন দেবজিৎ সইকিয়া। তিনি এমনিতে জয় শাহর অত্যন্ত কাছের মানুষ বলেই পরিচিত। সেই সুবাদেই কার্যত বিনা বাধায় দেবজিৎ সইকিয়া বিসিসিআইয়ের সচিব মনোনীত হয়েছেন।
খেলোয়াড় জীবন থেকে অবসর নেওয়ার পর দেবজিৎ দীর্ঘদিন ক্রিকেট প্রশাসনেও ছিলেন। বিসিসিআই সচিবের দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি অসম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন দেখভাল করছিলেন। প্রভতেজও ক্রিকেটে নতুন না। তিনি দীর্ঘদিন ক্রিকেট প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি তিনি পারিবারিক মদ ব্যবসাও দেখভাল করেন। প্রভতেজের বাবা বলদেব সিং ভাটিয়া ছত্তিশগড় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। ২০১৬ সালে ছত্তিশগড় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন বিসিসিআইয়ের পূর্ণ সদস্যপদ পায়। সেই সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রেও বলদেব সিং ভাটিয়ার বিরাট অবদান ছিল।
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/01/13/5aQ3D6ykPj0ZWWuXGq4x.jpg)
২০১৯-২২ সালে প্রভতেজ বিসিসিআইয়ের এপেক্স কাউন্সিলের সদস্যপদ পান। ঋদ্ধিমান সাহার বিচার যে কমিটি করেছিল, প্রভতেজ সেই তিন সদস্যের এপেক্স কমিটিতে ছিলেন। ঋদ্ধিমান সেই সময় এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তাঁকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখার পর তিন সদস্যের কমিটি ওই সাংবাদিককে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে মাঠেই ক্রিকেটারদের ধাক্কাধাক্কি, দেখুন কলঙ্কজনক সেই দৃশ্য
প্রভতেজের ঠাকুরদা ১৯৪৮ সালে ভারতে আসার পর মদ বিক্রির দোকান খুলেছিলেন। ২০১৪ সালে প্রভতেজ নিজস্ব বিয়ার কোম্পানি খোলেন। তাঁর কোম্পানির নাম দেন- সিংবা বিয়ার কোম্পানি। ২০২৪ সালে প্রভতেজের সংস্থা ২০০ কোটি টাকারও বেশি আয় করেছে। মদ ছাড়াও প্রভতেজ চা বিক্রেতা সংস্থা, সিলভার মুন-এরও মালিক।