২০১৬ সালে রাতারাতি সেনসেশন বনে গিয়েছিলেন মুম্বইয়ের ক্রিকেটার প্রণব ধনওয়াডে। স্কুল ক্রিকেটে রেকর্ড গড়া ১০০৯ রান করে রাতারাতি প্রচারের আলোয় উঠে আসেন। ৩২৭ বলে ৫৯ ছয় এবং ১২৯টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০০৯ রান করে যান তিনি।
যেকোনো পর্যায়ের ক্রিকেটে প্রণব ধানওয়াডের সেই ইনিংস ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান। প্রণবের ইতিহাস গড়া ইনিংসের সৌজন্যেই তাঁর স্কুল দল ইনিংস এবং ১৩৮২ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয়।
আরো পড়ুন: ‘মুসলিমরা বম্ব’, একের পর এক বিস্ফোরক বিদ্বেষী টুইট! চরম শাস্তির মুখে ইংরেজ পেসার
সম্প্রতি ক্রিকেট.কম-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দুরন্ত সেই ইনিংসের বিষয়ে মুখ খুলেছেন প্রণব। "সেই রেকর্ড গড়ার পরে আমার ওপর প্রত্যাশা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। যতবারই ব্যাট করতে নামতাম, ততবারই সেই চাপ অনুভব করতাম। কিছু কিছু সময় সেই প্রত্যাশার চাপ সইতে না পেরে আউট হয়ে যেতাম। একাধিকবার লুজ শট খেলে আউট হয়ে যাওয়ায় সময়টা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল আমার কাছে।"
তবে সেই রেকর্ড তাঁকে যেমন অযাচিত প্রত্যাশা উপহার দিয়েছে, তেমন চরম বিস্ময় হাজির করেছে তাঁর জীবনে। সেই বিশ্বরেকর্ড গড়া তারকা শচীনের বাড়িতেও আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীনের উত্থান স্কুল ক্রিকেট খেলেই। জাতীয় দলের জার্সিতে সেরার সেরা হয়ে ওঠার আগেই শচীন বাল্য বন্ধু বিনোদ কাম্বলীর সঙ্গে জুটিতে ৬৬৪ রান তুলে পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে আসেন। শচীন নিজে ৩২৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
ধানাওয়াডে সেই স্মৃতি জানাতে গিয়ে বলছিলেন, "আগে থেকেই অর্জুন তেন্ডুলকরের বন্ধু ছিলাম। সেই ইনিংসের পর শচীনের বাড়িতে আমন্ত্রিতও হই। মনে হচ্ছিল স্বপ্ন যেন সত্যি হয়েছে। শচীন আমাকে একটা ব্যাট গিফট করে শুভেচ্ছা জানান।"
২০১৬ সালে প্রণব ধানওয়াডে ছোটদের ক্রিকেটে পৃথ্বী শ-য়ের রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছিলেন। ২০১৩-য় পৃথ্বী-র ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৫৪৬। মাত্র ২ বছর পরেই পৃথ্বীর সেই রেকর্ড ভেঙে যায়। পৃথ্বী বর্তমানে জাতীয় দলের তারকা। যুব বিশ্বকাপও জিতেছেন। অন্যদিকে, হারিয়েই গিয়েছেন প্রণব ধানওয়াডে। এখনো সিনিয়র ক্রিকেটেই অভিষেক হয়নি তাঁর। অতিমারী কেটে গেলে পারফর্ম করে সিনিয়র ক্রিকেটে জায়গা পাবেন, সেই প্রত্যাশায় রয়েছেন প্রণব ধানওয়াডে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন