Prasidh Krishna, Sai Sudharsan Star as Gujarat Titans Overwhelm Mumbai Indians on Ahmedabad's Black-Soil Pitch: গুজরাট টাইটানস কালো মাটির আহমেদাবাদ পিচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে ৩৬ রানে মুম্বই ইন্ডিয়ানসকে হারিয়েছে। দলের জয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ও সাই সুদর্শন। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে গুজরাট টাইটানস ৮ উইকেটে তোলে ১৯৬ রান। সাই সুদর্শন ৬৩ রানের ইনিংস খেলে দলের ভিত গড়ে দেন। পাওয়ারপ্লেতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেও পরে স্ট্রাইক হারানোর কারণে কিছুটা ধীরগতি আসে তাঁর ইনিংসে। তবে শেষ দিকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শট খেলে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মুম্বই ইন্ডিয়ানস শুরুটা ভালো করলেও, ১২তম ওভারের পর থেকে তারা ছন্দ হারিয়ে ফেলে। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ দুর্দান্ত বোলিং করে ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ২টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন। বিশেষ করে সূর্যকুমার যাদব ও তিলক ভার্মার উইকেট তুলে নিয়ে তিনি মুম্বইয়ের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে দেন। গুজরাট টাইটানসের বোলিং পরিকল্পনা ছিল নিখুঁত। প্রধান কোচ আশিস নেহরা কালো মাটির পিচের সুবিধা কাজে লাগিয়ে বোলারদের স্পিন ও ধীরগতির বল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যা মুম্বই ব্যাটসম্যানদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। হার্দিক পান্ডিয়া, ব্যাটিংয়ে কিছু করতে পারেননি। কিন্তু, বোলিংয়ে তিনি ভালোই পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। ২৯ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন।
এই জয়ে গুজরাট টাইটানস পয়েন্ট টেবিলে ভালো জায়গায় পৌঁছে গেল। আর, মুম্বই ইন্ডিয়ানস আরও বিপাকে পড়ল। তাদের জয়ের রাস্তা খুঁজে পেতে নতুন করে চেষ্টা চালাতে হবে। নতুন রণকৌশল নিতে হবে। মুম্বইয়ের নেতা হার্দিক পান্ডিয়া গতবছর থেকেই দলের দায়িত্ব নিয়েছেন। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত দলকে বিশেষ সাফল্য দিতে পারেননি। অথচ, এই হার্দিকই কিন্তু গুজরাটের দায়িত্ব নিয়ে প্রথমবার গুজরাটকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। দ্বিতীয়বার ফাইনালে তুলেছেন দলকে।
আরও পড়ুন- আবারও সেই একই ভুল! ফের শাস্তির কোপে পড়লেন হার্দিক পান্ডিয়া
এমআইয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং অন্যতম স্তম্ভ রোহিত শর্মাও ম্যাচে দাগ কাটতে পারেননি। তিনি মহম্মদ সিরাজের অফকাটারে উইকেট হারান। জিটির সহকারি কোচ পার্থিব প্যাটেল জানিয়েছেন, তাঁরা ইচ্ছাকৃতভাবেই কালো মাটির পিচ বেছে নিয়েছেন, যাতে বলের গতিটা কমে যায়। এটা তাঁদের একটা রণকৌশল ছিল। আট ওভারের শেষের টাইমআউটে জিটির কোচ আশিস নেহরাকে আলাদাভাবে কাগিসো রাবাদা ও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। যা ছিল এই রণকৌশলেরই অঙ্গ।