ডোপ করে নির্বাসনে ছিলেন। নির্বাসন থেকে ক্রিকেট মাঠে ফিরে ব্যাট হাতে দুরন্ত ইনিংস উপহার দিলেন পৃথ্বী শ। চলতি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে রবিবারে আসামের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের জার্সিতে ৩৯ বলে ৬৩ রান করে গেলেন। তাঁর ইনিংস সাজানো সাতটা বাউন্ডারি এবং দুটো ওভার বাউন্ডারিতে। পৃথ্বীর পাশাপাশি মুম্বইয়ের হয়ে ব্যাট হাতে সফল আদিত্য তারেও। দুই তারকার ব্যাটে ভর করে মুম্বই স্কোরবোর্ডে তুলল ২০৬/৫।
মুম্বইয়ের ইনিংসের শুরুটা দারুণ করেছিলেন শ ও তারে। ওপেনিং জুটিতেই স্কোরবোর্ডে ১৩৮ তুলে দিয়েছিলেন দু-জনে। আদিত্য তারে ৪৮ বলে ৮২ রানে অপরাজিত রিয়ান পরাগের বলে আউট হয়ে যান। তারপরেই খোলস ছেড়ে বেরোন পৃথ্বী। মাত্র ৩২ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে যান তিনি।
হাফসেঞ্চুরি করার পরেই পৃথ্বী শ ক্যামেরার দিকে লক্ষ্য করে ব্যাট তুললেন। যেন বার্তা দিলেন, "আমার ব্যাটই আমার হয়ে কথা বলবে।" তবে আদিত্য তারের মতো পৃথ্বীকেও সাজঘরে ফেরান রিয়ান পরাগ। মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা হাকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে আউট হয়ে যান পৃথ্বী।
চলতি বছর জুলাই মাসে বিসিসিআই পৃথ্বীকে সাসপেন্ড করেছিল। পৃথ্বী যে কাশির সিরাপ খেয়েছিলেন তাতে ছিল টারবুটালাইন, যা প্রায় কম-বেশি প্রতিটি কাশির সিরাপেই পাওয়া যায়। ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ওয়াডা)-র নিয়ম মতে এটি একটি নিষিদ্ধ উপাদান। যা কোনও ক্রিকেটারের নেওয়া নিষিদ্ধ।
কাশির ওষুধ সেবন করেই ক্রিকেট থেকে এই ক’মাস দূরে থাকতে হয়েছিল পৃথ্বীকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ভারতীয় দলের হয়ে খেলতে পারেননি তিনি।চলতি বাংলাদেশে টেস্টেও এই জন্য়ই তাঁর কথা নির্বাচকরা ভাবতে পারেননি। ১৭ নভেম্বরেই তাঁর নির্বাসন উঠে গিয়েছে। আর তারপরেই ব্যাট হাতে ঝলসে উঠলেন বছর ২০-র তারকা।
Read the full article in ENGLISH