Fauja Singh marathon runner: পাঞ্জাব পুলিশ (Punjab Police) কিংবদন্তি ম্যারাথন রানার ফৌজা সিংয়ের (Fauja Singh) হিট অ্যান্ড রান দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে এক এনআরআই (NRI) যুবককে গ্রেফতার করেছে। প্রবাসী ভারতীয় অমৃতপাল সিং ধিল্লোঁকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি পুলিশ একটি ফরচুনার SUV গাড়িও বাজেয়াপ্ত করেছে।
জলন্ধরের কর্তারপুরের দাসূপুর গ্রামের বাসিন্দা ধিল্লোঁকে মঙ্গলবার গভীর রাতে আটক করা হয় এবং ভোগপুর থানায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আজ তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে এবং পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হতে পারে।
পাসপোর্ট হারিয়ে যাওয়ায় কানাডায় ফিরতে পারেনি অমৃতপাল
ফৌজা সিংকে ধাক্কা মারা এনআরআই অমৃতপাল সিং ধিল্লোঁ, যিনি কর্তারপুরের দাসুয়াল গ্রামের বাসিন্দা, তাঁকে পুলিশ রাতের বেলায় বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। জলন্ধর (গ্রামীণ) এসএসপি হরবিন্দর সিং বির্ক জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত জানিয়েছে যে সে জানত না যে যাঁকে সে গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দিয়েছে, সে ফৌজা সিং। পরে টিভিতে দেখে সে বিষয়টি জানতে পারে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ফরচুনার গাড়ির কিছু ভাঙা অংশ উদ্ধার করে পুলিশ, সেগুলি পরীক্ষা করে গাড়ির মডেল চিহ্নিত করা হয় এবং হাইওয়ের পাশের গ্রামের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়।
আরও পড়ুন দৌড় থামল ফৌজা সিংয়ের, গাড়ির ধাক্কায় নিহত ১১৪ বছরের 'পাগড়িওয়ালা টর্নেডো'
এসএসপি জানান, অভিযুক্তের প্রথমে জলন্ধর আসার কথা ছিল, কিন্তু দুর্ঘটনার পর সে গ্রামের গোপন রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে অমৃতপাল জানিয়েছে, তাঁর পাসপোর্ট হারিয়ে গেছে, তাই সে কানাডায় ফিরতে পারেনি। যে গাড়িটি দুর্ঘটনায় ব্যবহৃত হয়েছিল, সেটি তাঁর নামে নয়, অন্য একজনের নামে ছিল। অমৃতপাল টুরিস্ট ভিসায় কানাডায় গিয়েছিল এবং পরে ওয়ার্ক পারমিটে কাজ করছিল। তাঁর তিন বোন ও মা কানাডায় থাকেন, আর তাঁর বাবা প্রয়াত হয়েছেন। পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে আরও ধারাও যুক্ত করেছে।
পুলিশের মতে, অভিযুক্ত অমৃতপাল সিংয়ের বিরুদ্ধে এর আগে কোনও অপরাধের রেকর্ড নেই। অভিযুক্ত জানিয়েছে, ‘‘যখন জলন্ধর-পাঠানকোট হাইওয়েতে ফৌজা সিংকে ধাক্কা মেরেছিল, তখন গাড়ির গতি খুব বেশি ছিল এবং সময়ে ব্রেক মারতে পারেনি, তাই ধাক্কা মেরে সে সোজা পালিয়ে যায়।’’
এসএসপি (গ্রামীণ) হরবিন্দর সিং বির্ক বলেছেন, ‘‘সর্দার ফৌজা সিং একজন ব্রিটিশ ম্যারাথন দৌড়বিদ ছিলেন, যাঁর বয়স প্রায় ১১৪ বছর। তাঁর পৈতৃক গ্রাম বেয়াস, যা জলন্ধর গ্রামীণ জেলার অধীনে এবং থানার আওতায় পড়ে আদমপুর। গতকাল দুপুর প্রায় ৩টা নাগাদ দুপুরের খাবারের পর ফৌজা সিং রাস্তায় হাঁটতে বের হয়েছিলেন। তখন জলন্ধর ও পাঠানকোটের মাঝের হাইরোডে একটি অজ্ঞাত গাড়ি তাঁকে ধাক্কা মারে।
তাঁকে জলন্ধরের শ্রীমন্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেখানে সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ আহত অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। আদমপুর থানায় প্রয়োজনীয় ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।’’