চলতি বছরে তিনবার তীরে এসে তরী ডুবল পিভি সিন্ধুর। দেশের স্টার শাটলার ব্যক্তিগত ইভেন্টের বেশ কয়েক’টা মেজর ফাইনালে হেরেছেন। গত রবিবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও ক্যারোলিনা মারিনের কাছে হারতে হয়েছে সিন্ধুকে। এর আগে ২০১৬ রিও অলিম্পিকের ফাইনালে বাজিমাত করতে পারেননি তিনি। গতবছর সুপারসিরিজ ফাইনালেও হেরেছেন সিন্ধু। চলতি বছরেও ইন্ডিয়ান ওপেন ও থাইল্যান্ড ওপেনে শেষ হাসি হাসতে পারেননি দেশের অলিম্পিক রুপো জয়ী কন্য়া।
আরও পড়ুন: ক্যারোলিনার র্যাকেটে সাইনার বিশ্বজয়ের স্বপ্নভঙ্গ
দেখতে গেলে শেষ সাত বছরে ১২ বার ফাইনাল হেরেছেন হায়দরাবাদের এই শাটলার। তাহলে কী সিন্ধুর কি ‘ফাইনাল ফোবিয়া’ কাজ করে? এই আশঙ্কা স্ট্রেট ব্যাটে উড়িয়ে দিলেন দেশের প্রাক্তন কিংবদন্তি ব্যাডমিন্টন তারকা প্রকাশ পাড়ুকোন। তিনি বলছেন, “এটা নিঃসন্দেহে কৃতিত্বের যে, সিন্ধু বারবার ফাইনালে উঠছে। প্রতিযোগিতা অত্যন্ত কঠিন। ও নিশ্চই পরেরবার সোনার লক্ষ্যেই নামবে। এটা দেখতে হবে যে ও দু’জন জাপানি খেলোয়াড়কে (ওকুহারা ও ইয়ামাগুচি) হারিয়ে, ও কিন্তু ওদের বিরুদ্ধে এমনিতে জিততে পারে না। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, ফাইনালে ও পারছে না।” সিন্ধুর ফাইনালে মানসিক প্রতিবন্ধকতার বিষয়টাও মানতে নারাজ পাড়ুকোন। তাঁর সংযোজন, “ এরকম কোনও ব্যাপারই নয়। ওর বয়স এখনও কম। ও নিশ্চই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতবে ভবিষ্য়তে। সিন্ধু এখনই দেশের অন্যতম সেরা প্লেয়ার। ও খুব ভাল খেলছে। সিন্ধুকে চাপে না-ফেলে আমরা ওর জয়টা নিশ্চিত করতে পারি। সিন্ধু বিশ্বের তিন নম্বর। এটা ভাবতে হবে কেন ও ফাইনালে এসে বারবার হারছে! সিন্ধু হারছে হারছে করলে ও চাপে পড়ে যাবে।’’
অন্যদিকে পাড়কোন মনে করছেন যে, গোপীচাঁদের ওপর অনেকটা চাপ পড়ে যাচ্ছে। তাঁকে সাহায্য করার জন্য কারোর প্রয়োজন। সাইনা নেহওয়াল, পিভি সিন্ধু ও কিদাম্বি শ্রীকান্তের মতো খেলোয়াড় তৈরি করেছেন গোপীচাঁদ। এত ভাল ভাল প্লেয়ারদের একজন কোচের পক্ষে দেখভাল করটা কঠিন হয়ে পড়ছে।