R Ashwin's Heartwarming Return to Chennai After Retirement: বুধবার গাব্বা টেস্টের পরেই অবসরের চূড়ান্ত ঘোষণা করে দেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। হাই প্রোফাইল সিরিজের মাঝপথেই এই অবসর ঘোষণা অনেককেই অবাক করেছে। ৩৮ বছরের মহাতারকা বৃহস্পতিবারই চেন্নাইয়ে ফিরে এলেন।
চেন্নাইয়ে ফিরে সাংবাদিকদের মহারথী অফস্পিনার জানিয়ে দিয়েছেন, "আমি চেন্নাই সুপার কিংস (CSK)-এর হয়ে খেলতে চলেছি এবং আমি যতদিন পারব ততদিন খেলার চেষ্টা করব, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমার মনে হয় না যে অশ্বিন নামের ক্রিকেটার শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে হ্যাঁ, অশ্বিন নামে ভারতীয় ক্রিকেটার হয়তো তার সময়ে ইতি টেনেছে। এটাই সব।"
মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় অশ্বিন আরও অনেক বিষয় খোলসা করেন। সিদ্ধান্ত কি আবেগের বশে নেওয়া কিনা, সেই প্রশ্নের জবাবে এমনই জানিয়েছেন তিনি, "অনেকের কাছেই এটা আবেগপূর্ণ ব্যাপার। এটা আবেগময় হবে, হয়তো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটা থিতিয়ে যাবে। কিন্তু আমার জন্য, এটা এক ধরনের স্বস্তি এবং তৃপ্তির অনুভূতি। এটা অনেক দিন ধরে আমার মাথায় ছিল, তবে সিদ্ধান্তটা হঠাৎই এসেছিল। চতুর্থ দিন আমার মনে হয়েছিল, এবং পঞ্চম দিন আমি সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলি।"
বিসিসিআইয়ের তরফে অশ্বিনের অবসরকালীন ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে একদিন আগেই। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, "আমি প্রকাশ করছি না, তবে এটা সত্যিই আবেগঘন এক মুহূর্ত।" তারপর গড়গড় করে বলতে থাকেন, "সত্যি বলতে, টিম হাডলে মনের কথা বলা অনেক সহজ। ধন্যবাদ রোহিত (শর্মা), ধন্যবাদ বিরাট, ধন্যবাদ গৌতি (গম্ভীর) ভাই। আজ আমি ভীষণই খুশি।"
আরও পড়ুন: রাহুল ভাই চলে গিয়েছেন, শচীন পাজিও নেই! অশ্বিনের বিদায়ী বক্তৃতা কাঁদিয়ে দিল গোটা দেশকে, রইল ভিডিও
এরপরে অশ্বিন প্ৰথমবার অস্ট্রেলিয়া সফরের স্মৃতি রোমন্থন করেছেন। যে সফরে রাহুল দ্রাবিড়, ভিভিএস লক্ষ্মণদের মত কিংবদন্তিদের বিদায় হয়েছিল। ২০১৩-য় তারপর অবসরে যাবেন শচীন তেন্ডুলকর। "মনে হচ্ছে যেন এইমাত্র আমি প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়া সফরে এসেছি। আমি সবাইয়ের রূপান্তর প্রত্যক্ষ করেছি। রাহুল পাজি বিদায় নিয়েছেন, শচীন পাজি বিদায় নিয়েছেন।"
"তবে বিশ্বাস করুন, প্রত্যেকের বিদায়ের মুহূর্ত আসে এবং এখন সত্যিই আমার সময়। আমি আমার সময় পুরোপুরি উপভোগ করেছি। আমি কয়েকজনের সঙ্গে দুর্দান্ত সম্পর্ক গড়ে তুলেছি কেরিয়ারে, বিশেষ করে গত ৪-৫ বছরে। আমি এমন কিছু সতীর্থদের রেখে যাচ্ছি, যারা আমার ভীষণ কাছের।"
"গত চার বছরে প্রতিটি মুহূর্ত উপলব্ধি করেছি। আমি ওঁদের সম্পর্ককে কতটা মূল্য দিই এবং একজন খেলোয়াড় হিসেবে তাদের কতটা সম্মান করি, বুঝতে শিখেছি। আমি জাতীয় দলে দুর্দান্ত একটা সময় কাটিয়েছি।"