'মানকাডিং' বিতর্ক পিছুই ছাড়ছে না রবিচবন্দ্রন অশ্বিনের। জয়পুরের সাওয়াই মান সিং স্টেডিয়ামে কিংস ইলিভেন বনাম রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচ চলাকালীন জস বাটলারকে আউট করেই এই বিপত্তি ডেকে এনেছেন পাঞ্জাবের ক্যাপ্টেন। গত বুধবার মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) সাফ জানিয়ে দিয়েছিল যে, অশ্বিন ক্রিকেটের নিয়ম মেনেই বাটলারকে আউট করেছেন। কিন্তু এই ইস্যুতে এবার ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেল এমসিসি। তারা এখন বলছে, অশ্বিন ক্রিকেটের স্পিরিট বজায় রেখে এই কাজ করেননি।
এমসসি-র ম্যানেজার অফ দ্য ল'স ফ্রেসার স্টুয়ার্ট দ্য টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই বলেছেন। তিনি জানান, "আমরা ঘটনাটা খতিয়ে দেখেছি আবার। আমাদের মনে হয় না, অশ্বিন খেলার স্পিরিট মেনেছেন। অশ্বিন যে সময় নিয়ে কাজটা করেছেন ততক্ষণে তাঁর বলটা ডেলিভারি করে দেওয়া উচিত ছিল। বাটলারও ভেবেছিল অশ্বিন বলটা ডেলিভারি করে দেবে।"
আরও পড়ুন: ‘মানকাডিং’! বাটলারের বিতর্কিত আউট নিয়ে সমালোচিত অশ্বিন
ক্রিকেটের আইন ও নিয়মকানুন রচনা করে এমসিসি। তাদের হয়ে স্টুয়ার্ট আরও বলছেন, " নন-স্ট্রাইকাররা এভাবে আগে থেকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে ঠিক করেন না। এই বিতর্কটাই উঠত না যদি নন-স্ট্রাইকার বল ডেলিভারি হওয়া পর্যন্ত ক্রিজে থাকত। বাটলার-অশ্বিনের ঘটনায় বলব. বাটলারও ক্রিজে ফেরার চেষ্টা করেননি প্রলম্বিত ডেলিভারি দেখে। ক্রিকেটের স্পিরিট বজায় রেখে খেলাটাই উচিত।"
ভিনু মানকড় প্রথমবার ক্রিকেটের ইতিহাসে এভাবে আউট করেছিলেন নন স্ট্রাইকিং এন্ডে থাকা বিলি ব্রাউনকে৷ ১৯৪৭ সালে ১৩ ডিসেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই ঘটনা ঘটেছিল। সংবাদমাধ্যমে কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মানকড়। কিন্তু পাশে পেয়েছিলেন ডন ব্র্যাডম্যানকে। তিনি বলেছিলেন যে, ক্রিকেটের স্পিরিট বজায় রেখেই এই কাজ করেছেন মানকড়। ক্রিকেটের রুলবুকেও এর উল্লেখ রয়েছে। তারপর থেকেই নন স্ট্রাইকিং এন্ডে ক্রিকেটার ব্যাট ঠেকিয়ে না রাখলে আর সেই এন্ডের উইকেটের বেল ফেলে দিলে সেই আউটকে মানকাডেড বলা হয় ৷