করোনায় কাঁপছে স্পেন, নাদালের নেতৃত্বে ক্রীড়াতারকাদের ত্রাণতহবিল

করোনাভাইরাসের প্রবল দাপটে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির তালিকায় স্পেন আপাতত ইতালি এবং আমেরিকার সঙ্গে প্রথম তিনে। আক্রান্ত ৫৬ হাজারের বেশি

করোনাভাইরাসের প্রবল দাপটে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির তালিকায় স্পেন আপাতত ইতালি এবং আমেরিকার সঙ্গে প্রথম তিনে। আক্রান্ত ৫৬ হাজারের বেশি

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
rafael nadal coronavirus fundraiser

রাফায়েল নাদাল। ছবি উইকিপিডিয়া থেকে

করোনায় কাঁপছে স্পেন। করোনার দাপটে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলির তালিকায় স্পেন আপাতত ইতালি এবং আমেরিকার সঙ্গে প্রথম তিনে। প্রায় ৫৬ হাজার মানুষ স্পেনে করোনা-আক্রান্ত। ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন ৪ হাজারেরও বেশি। প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। পুরো দেশে ১২ এপ্রিল অবধি লকডাউন চলছে। এমতাবস্থায় স্পেনের টেনিস মহাতারকা রাফায়েল নাদাল সে দেশের ক্রীড়াজগতের কাছে আহ্বান জানালেন ১১ মিলিয়ন ইউরোর (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৯২ কোটি টাকা) ত্রাণতহবিল গড়ে তোলার।

Advertisment

নাদাল একটি ভিডিওতে বলেছেন, "দেশের অ্যাথলিটদের এবার দেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। দেশের মানুষের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমরা সবসময় পেয়ে এসেছি, এবং এখনই সময় দেশের বিপদে অ্যাথলিটদের একজোট হওয়ার।"

টেনিস জগতের কিংবদন্তি তারকা নাদাল আরও বলেছেন, "রেড ক্রসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আমরা উদ্যোগী হয়েছি দেশের চিকিৎসা-পরিষেবার জন্য ত্রাণতহবিল গড়ে তোলার। স্পেনের ক্রীড়াজগতের সবাইকে এই উদ্যোগে শামিল হতে অনুরোধ করছি। আমাদের লক্ষ্য ১১ মিলিয়ন ইউরোর তহবিল গড়ে তোলা, যাতে অন্তত ১৩ লক্ষ মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়।"

Advertisment

করোনা-সঙ্কটে বিশ্বজুড়ে তারকা ক্রীড়াবিদদের আর্থিক সাহায্য নিয়ে আসার তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন নাদাল। আরেক টেনিস মহাতারকা রজার ফেডেরার সম্প্রতি এক মিলিয়ন সুইস ফ্র্যাঙ্ক দান করেছেন নিজের দেশ সুইজারল্যান্ডের ত্রাণতহবিলে। লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোও যথাক্রমে ইতালি এবং পর্তুগালের ত্রাণতহবিলে বিরাট অঙ্কের অর্থসাহায্য করেছেন।

এদিকে, স্পেনে করোনা-বিপর্যয়ের ধাক্কা সামলাতে এগিয়ে এসেছে রিয়াল মাদ্রিদ ক্লাবও। রিয়াল মাদ্রিদের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, ক্লাবের সান্টিয়াগো বার্নাবিউ স্টেডিয়াম আপাতত করোনা-সংক্রান্ত চিকিৎসা সামগ্রী মজুত রাখার কাজে ব্যবহৃত হবে।

coronavirus