ছয় মাস চোটের কারণে জাতীয় দলের বাইরে ছিটকে যেতে হয়েছিল। তারপরে টেস্টে অভিষেকেই বাজিমাত। কানপুরে টেস্টে অভিষেকেই কঠিন সময়ে ব্যাট করতে নেমে ১০৫ করে আপাতত শিরোনামে শ্রেয়স আইয়ার। ১৬তম ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসাবে টেস্টে অভিষেকে শতরানের কৃতিত্ব অর্জন করেছেন মুম্বইকর।
ঘটনাচক্রে, জাতীয় দলে কোচিংয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পরে দ্রাবিড়ের ছিল এটাই প্ৰথম টেস্ট। কোচ দ্রাবিড়ের অভিষেকও এক অর্থে স্মরণীয় করে রাখলেন শ্রেয়স। এর আগেও দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে খেলেছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। ভারতীয়-এ দলে থাকার সময়ে। দ্রাবিড় ভারতীয়-এ দলের হেড কোচ ছিলেন বেশ কয়েক বছর। সেই সময়েই দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে খেলেছেন শ্রেয়স আইয়ার।
আরও পড়ুন: নিয়ম না ভেঙেই আম্পায়ারকে বাধা! অশ্বিন-মেননের তুমুল ঝামেলায় সরগরম কানপুর, দেখুন ভিডিও
একবার দ্রাবিড়ের এ দলের কোচিংয়ের সময় শ্রেয়স আইয়ারকে ব্যাপক বকাঝকা করেছিলেন মহাতারকা। সেই পুরোনো ঘটনাই আবার শিরোনামে উঠে এসেছে শ্রেয়সের শতরান-কীর্তির পরে।
সেই ঘটনাই কানপুরে স্মরণ করেন শ্রেয়স। জানান, চার দিনের ম্যাচে একবার কোচ দ্রাবিড়ের উষ্মার শিকার হন তিনি। দিনের শেষ ওভারে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন আইয়ার। আর শেষ ওভারে এমন ঝুঁকি নেওয়ার পরেই তরুণ ক্রিকেটারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন দ্রাবিড়।
ক্রিকবাজ-কে আইয়ার বলেছেন, "চার দিনের ম্যাচে দ্রাবিড়ের কোচিংয়ে প্ৰথমবার খেলতে নেমেছিলাম। আমি তিরিশের কোটায় ব্যাটিং করছিলাম। দিনের শেষ ওভারে সকলেই ভেবেছিল সতর্ক হয়েই খেলা চালিয়ে যাব। দ্রাবিড় স্যার ডাগ আউটে বসেছিলেন। সেই সময় বোলারের একটা ফ্লাইটেড বলে স্টেপ আউট করে ছক্কা হাঁকাই। আকাশে বিশাল উচ্চতায় পৌঁছে বল শেষ পর্যন্ত ছক্কা হয়। ড্রেসিংরুমে হইচই পড়ে যায় তারপরে। দিনের শেষ ওভারে যে এরকম ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলব, অনেকেই ভাবতে পারেননি।"
এরপরে শ্রেয়স আরও জানান, "আমার খেলায় অনেকটা আন্দাজ পেয়ে যান দ্রাবিড় স্যার। উনি আমাকে এসে সরাসরি জিজ্ঞাসা করলাম, দিনের শেষ ওভার। আর আমিই কিনা এরকম শট খেললাম। আমি পরে বুঝতে পারি, উনি কী বলতে চেয়েছেন।"
সেই বকাঝকার স্মৃতি আপাতত অতীত। কানপুরে ছাত্রের টেম্পারমেন্ট দেখে নির্ঘাত খুশি হবেন দ্রাবিড়। তা-ও আবার কঠিন সময়ে শতরান হাঁকিয়ে। গুরুদক্ষিণাই দিলেন বটে, শ্রেয়স!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন