ঋদ্ধিমান সাহা দাবি করেছিলেন রাহুল দ্রাবিড় তাঁকে পরোক্ষে অবসরের ইঙ্গিত দেন। ইডেনে তৃতীয় টি২০ ম্যাচের পরে তা স্বীকার করে নিলেন হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়। তারকা কোচ স্বীকার করে নিলেন, টিম ম্যানেজমেন্ট তরুণ উইকেটকিপারদের গ্রুম করতে চায়। ঋদ্ধিমানের সময় হয়ত ফুরিয়ে এসেছে।
ম্যাচের পরে ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে তিনি বলেন, "(ঋদ্ধিমানের মন্তব্যে) মোটেই আহত হইনি। কারণ ভারতীয় ক্রিকেটে ঋদ্ধিমানের অবদান, অর্জনের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। আর সেই কারণেই ওঁর সঙ্গে আমার কথা হয়। আমার মনে হয়েছিল, নিজের অবস্থা নিয়ে ওঁর স্বচ্ছ ধারণা থাকা উচিত। এমন কথাবার্তা সমস্ত ক্রিকেটারের সঙ্গেই হয়ে থাকে আমার। আমি প্রত্যাশাও করিনা, সবসময় প্লেয়াররা আমার সঙ্গে সহমত হবে। এমন ভাবে এটা মোটেই হয়না।"
আরও পড়ুন: ঋদ্ধিমানকে হুমকি দেওয়া সেই সাংবাদিক কে! বিরাট পদক্ষেপের পথে সৌরভের বোর্ড
দ্রাবিড় স্বীকার করছেন, ঋদ্ধিমানের সঙ্গে সেই কথোপকথন বেশ কঠিন ছিল। "কারোর সঙ্গে যখন কঠিন বিষয়ে কথাবার্তা হয়, সবসময় অন্যজন যে আপনার সঙ্গে একমত হবে, সেরকম প্রত্যাশা না রাখাই ভাল। তবে সেই জন্য কথাবার্তা চালানো যাবে না, সবকিছু পর্দার পিছনে রাখতে হবে, এমনটা বিশ্বাস করি না। এমনকি প্ৰথম এগারো বাছার আগেও সকলের সঙ্গে কথাবার্তা জরুরি মনে করি। এখনও যাঁরা প্ৰথম একাদশে সুযোগ পাচ্ছে না তাঁদের সঙ্গে আমি অথবা রোহিত কথাবার্তা বলি। কেন তাঁরা খেলছে না, সেই বিষয়ে তাঁদের কাছে স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত। তাই (ঋদ্ধির মন্তব্যে) আমি মোটেই আহত নই। তবে আমার মনে হয়েছে, জাতীয় দলের জন্য ওঁর যা অবদান, যে অর্জন সেই কারণে ওঁর নিজের বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। সেই বার্তাই ওঁকে দিতে চেয়েছিলাম।"
দ্রাবিড়ের আরও সংযোজন, "ঋষভ পন্থ দলের একনম্বর উইকেটকিপার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমরা যেহেতু চলতি বছরে মাত্র তিনটি টেস্ট খেলব, সেই কারণেই নতুন কাউকে তৈরি রাখা প্রয়োজন। সবথেকে সহজ বিষয় হল, এমন কথাবার্তা থেকে বিরত থাকা। তবে আমি মোটেই এরকম নই। সেটা আমি করব-ও না। ওঁরা যে সবসময় আমাকে পছন্দ করবে, সেই প্রত্যাশাও নেই। তবে কোনও না কোনও পর্যায়ে ওঁরা অন্তত এই বিষয়কে সম্মান করবে যে আমি ওঁদের মুখোমুখি হয়ে এই কথাবার্তা জানিয়েছিলাম।"
আরও পড়ুন: বোর্ডের সঙ্গে ব্যক্তিগত কথাবার্তা প্রকাশ্যে কেন! ঋদ্ধিকে এবার বিঁধলেন সৌরভের দাদা স্নেহাশিস
জাতীয় দলের জার্সিতে ৪০ টেস্টের ৫৬ ইনিংসে খেলা ঋদ্ধিমানের রান ১৩৫৩ রান। ২০১০-এ টিম ইন্ডিয়ায় অভিষেক ঘটে তারকার। তবে দ্রুতই মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছে জায়গা হারাতে হয় তাঁকে। ধোনির অবসরের পরে একমাত্র জাতীয় দলে নিয়মিত খেলা শুরু করেন। তবে পন্থের উল্কাগতির উত্থানে ফের প্ৰথম এগারোর ঠাঁই হারান। ২০২০-২১ মরশুম থেকে পন্থ দলের ফার্স্ট চয়েস উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হয়ে যান।
এদিকে জাতীয় দলে ঋদ্ধিমান সাহার বদলে নেওয়া হয়েছে কেএস ভরতকে। কেএস ভরত এর আগে টিম ইন্ডিয়া স্কোয়াডে থাকলেও এখনও অভিষেক ঘটেনি তাঁর।