ভারতীয় মহিলা দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হলেন রমেশ পাওয়ার। তিনি ডব্লিউ ভি রমনের স্থলভিষিক্ত হচ্ছেন। টানা দুবছর জাতীয় মহিলা দলের কোচ ছিলেন রমন। তবে সিনিয়র ক্রিকেটার মিতালি রাজের সঙ্গে ঝামেলায় দায়িত্ব ছাড়তে হল তাঁকে।
জাতীয় দলের প্রাক্তন অফস্পিনার রমেশ পাওয়ারের নাম প্রস্তাব করে মদন লালের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি। ডব্লিউ ভি রমন সহ আটজন কোচ হওয়ার দৌঁড়ে ছিলেন। এই তালিকায় ছিলেন অজয় রাতরা, প্রাক্তন প্রধান নির্বাচক হেমলতা কালা-ও। তবে রমেশ পাওয়ারকেই শেষ পর্যন্ত বেছে নেওয়া হয়। পাওয়ার আগেও মহিলা দলের কোচের ভূমিকা পালন করেছিলেন।
আরো পড়ুন: এখনো আইপিএলের বেতন পাননি কামিন্সরা, মালদ্বীপে অপেক্ষায় অস্ট্রেলিয়ানরা
বোর্ডের তরফে বৃহস্পতিবার জানিয়ে দেওয়া হয়, "মহিলা দলের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে রমেশ পাওয়ারকে। বোর্ডের তরফে বিজ্ঞাপনের পরে ৩৫ জন এই পদের জন্য আবেদন করেছিলেন।"
ঘটনা হল, রমেশ পাওয়ারের সঙ্গেও মিতালি রাজের সম্পর্ক মোটেই ভাল নয়। টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পরেই মিতালি তৎকালীন কোচ রমেশ পাওয়ারের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন। সেই সময় রমেশ পাওয়ার পাল্টা বলেছিলেন, মিতালি রাজ দলের মধ্যে ঝামেলা তৈরি করেন। তারপরেই রমেশ পাওয়ারকে কোচের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
চলতি বছরেই রমেশ পাওয়ার কোচ হিসেবে মুম্বইকে বিজয় হাজারে ট্রফি জিততে সাহায্য করেন। সেই সঙ্গে কোচ হিসাবে নিজের যোগ্যতাও প্রমাণ করেন।
যাইহোক, রমনের কোচিংয়ে মহিলা দল গত বছরই টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল। তবে মার্চ মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওডিআই এবং টি২০-তে সিরিজ হারের পরেই তার বিদায়ের পথ প্রশস্ত হয়।
আগামী বছরেই নিউজিল্যান্ডে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ। কোচ হিসেবে এই মুহূর্তে পাওয়ারের আসল চ্যালেঞ্জ সেটাই। তবে আপাতত ভারতীয় মহিলা দল সাত বছর পর টেস্টে নামছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ সামনেই। তাছাড়া বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়া সফরও রয়েছে। সবমিলিয়ে একের পর এক বড় এসাইনমেন্ট কোচ পাওয়ারের হাতে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন