এই মুহূর্তে উত্তরাখণ্ডে বাইশ গজের যুদ্ধে মেতেছে ক্রিকেটের দুই নবীন দেশ। আফগানিস্তানের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের সিরিজ চলছে। তিনটি টি-২০, পাঁচটি ওয়ান-ডে ও একটি টেস্টের জন্য ভারতে এই দুই দেশ। প্রতিটি ম্যাচের ভেন্যু একটাই। দেরাদুনের রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম। গত রবিবার আফগানিস্তানে ও আয়ারল্যান্ডের মধ্যে ছিল সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-২০ ম্যাচ। আফগানরা ৩২ রানে ম্যাচ জিতেই আয়ারল্য়ান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছে টি-২০ সিরিজে। আর এই ম্য়াচেই এক সঙ্গে জোড়া রেকর্ড করে ইতিহাস লিখেছেন রশিদ খান।
রশিদ খানের আজ আর আলাদা করে পরিচয় দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। আধুনিক স্পিন জাদুকর এই মুহূর্তে টি-২০-তে এক নম্বর বোলার। ওয়ান-ডে র্যাঙ্কিংয়ে বোলারদের মধ্য়ে দু'নম্বরে তিনি। এমনকি পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে রশিদ এক নম্বর অলরাউন্ডারও।
আরও পড়ুন: ‘হেলিকপ্টার ল্যান্ডেড’! ধোনিকে ধন্যবাদ রশিদের
এহেন রশিদ দেরাদুনে প্রথম স্পিনার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে হ্যাটট্রিক করার নজির গড়লেন। এখানেই শেষ নয়, রশিদ পরপর চার বলে তুলে নিয়েছেন চার উইকেট। একমাত্র বোলার হিসেবে টি-২০ ক্রিকেটে এই রেকর্ড করলেন তিনি। এর আগে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেট ছ'জন বোলার হ্যাটট্রিক করেছেন। কিন্তু তাঁরা কেউই স্পিনার নন। সকলেই পেসার। তালিকায় রয়েছেন ব্রেট লি, জ্যাকব ওরাম, টিম সাউদি, থিসারা পেরেরা, ফাহিম আশরাফ ও লাসিথ মালিঙ্গা। এনাদের মধ্য়ে একমাত্র মালিঙ্গারই পরপর চার বলে চার উইকেট নেওয়ার নজির রয়েছে। যদিও সেটা পঞ্চাশ ওভারের ফর্ম্যাটে।
এই সিরিজে শুধু রশিদের নামই স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে না। তাঁর দলেরই আরও দুই ক্রিকেটারে নামও খোদাই করা হবে ইতিহাসে। গত শনিবার আফগানিস্তান ৮৪ রানে হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ডকে। এই ম্য়াচে আফগানিস্তান ২৭৮ রান তুলেছিল। এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে এটাই সর্বোচ্চ রানের নজির। হজরতুল্লাহ জাজাই (অপরাজিত ১৬২) ও উসমান ঘানি (৭৩) ওপেনিং পার্টনারশিপে ২৩৬ রান তুলেছিলেন। যে কোনও উইকেটে এটাই সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। রেকর্ডের ছড়াছড়ি হয়েছিল সেদিন। আফগানিস্তানের ইনিংসে এসেছিল ২২টি ছয়। এটাও সবচেয়ে বেশি। জাজাই একাই হাঁকিয়েছিলেন ১৬টি ছয়। আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে কোনও ব্যাটসম্যানের এক ইনিংসে মারা সবচেয়ে বেশি ছয়।