কটকে তৃতীয় ও ফাইনাল ওয়ানডে ভারত আট বল হাতে রেখেই চার উইকেটে জিতে নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু ম্য়াচের একটা সময় এমন এসেছিল যে, মনে হচ্ছিল বারাবটি স্টে়ডিয়ামে উইন্ডিজরাই না শেষ হাসি হাসে!
ভারত ২২৮ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছিল। দলের মিডল অর্ডার তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। শ্রেয়স আয়ার (৭), ঋষভ পন্থ (৭) ও কেদার যাদব (৯) এলেন আর উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে গেলেন। তিন ব্যাটসম্যান মিলে যোগ করলেন মাত্র ২৩ রান। কোহলির হাত শক্ত করতে মাঠে নামেন রবীন্দ্র জাদেজা।
আরও পড়ুন-কালিসকে টপকে সাতে কোহলি, টানা চার বছর সবচেয়ে বেশি রান তাঁর ব্য়াটেই
দুই ব্য়াটসম্য়ান মিলে ৫৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ভারতকে প্রায় জয়ের দোরগোড়ায় এনে দিয়েছিলেন। কিন্তু কোহলি শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলেন না। ৮১ বলে ৮৫ করে কেমো পলের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে যান। বিরাট যখন ফেরেন তখন ভারতের স্কোর ২৮৬। চলছিল ৪৭ ওভারের খেলা।
জয়ের জন্য় ভারতের তখনও প্রয়োজন ছিল ৩০ রান। এরকম একটা 'নার্ভাস সিচুয়েশন'-এ ক্রিজে আসেন শার্দূল ঠাকুর। একদিকে সেট হয়ে যাওয়া জাদেজা। অন্য়দিকে একদম নতুন শার্দূল। জাদেজাকে ফিনিশিং লাইন পার করাতে দুরন্ত সঙ্গ দিলেন শার্দূল। ৬ বলে দুরন্ত ১৭ রানের ক্যামিও ইনিংস উপহার দেন তিনি। জাদেজা অপরাজিত থাকেন ৩১ বলে ৩৯ রানে। হাতে এক ওভার দু’বল বাকি রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় ভারত।
আরও পড়ুন-দ্বিতীয়বারের জন্য় বছরের সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে উইকেটের মালিক মহম্মদ শামি
ম্য়াচের পর সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন যে, জাদেজা আর ঠাকুরের কী কথোপকথন হয়েছিল সেসময়। জাদেজা বলছেন, “শার্দূল যখন ব্য়াট করতে আসে, আমি ওকে বলেছিলাম উইকেট খুব ভাল। সুন্দর ভাব ব্য়াটে বল আসছে। আমি আর বিরাট যেটা ভাবছিলাম ওটাই ওকে বলি, প্রতিটি বল বুঝেই খেলতে হবে। শেষ পর্যন্ত আমরা থেকে যেতে পারলে জিতে যাব।"